ভোট প্রচারের শেষ দিনে অধীর চৌধুরী। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
শুক্রবার ছিল পুরভোটের প্রচারের শেষ দিনে বহরমপুরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থীর সমর্থনে বামফ্রন্টের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী থেকে শুরু করে বহরমপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী। তাঁদের সঙ্গে ওই মিছিলে ছিলেন সিপিএম নেতা তুষার দে সহ অন্য বাম নেতারা। জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘১৮ নম্বর ওয়ার্ডে নিয়মের গেরোয় পড়ে আমাদের প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তাই তৃণমূলকে হারাতে ওই ওয়ার্ডের কংগ্রেসের স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি মতো সিপিএম প্রার্থীকে আমরা সমর্থন করেছি। তাই সেখানে আমরা বামফ্রন্টের প্রার্থীর সমর্থনে মিছিল করেছি।’’
সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, ‘‘আমরা আগেই বলেছি যেখানে আমাদের প্রার্থী থাকবে না, সেখানে ধর্মনিরপেক্ষ দলকে সমর্থন দেব। সেই মতো অনেক জায়গায় ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তি হিসেবে কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে আমরাও প্রচার করেছি। বহরমপুরের এই ওয়ার্ডে কংগ্রেসের প্রার্থী না থাকায় তাঁরাও হয়তো একই কারণে আমাদের প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে এসেছেন।’’
এ দিন বহরমপুর শহরের ওসমানখালিতে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করেছেন তৃণমূলের নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়। এদিন বহরমপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রার্থী ভীষ্মদেব কর্মকার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বর্ণাঢ্য মিছিল বের করেছিলেন। এ দিন মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ, বেলডাঙা, কান্দি সর্বত্রই তৃণমূলের প্রচার কর্মসূচি ছিল। কান্দির তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকার শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পদযাত্রা করেছেন। মুর্শিদাবাদ শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিপ্লব চক্রবর্তীর সমর্থনে সভা করেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান। বেলডাঙার তৃণমূলের বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখ দিনভর বেলডাঙা শহরে দলের প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করেন।বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘‘জেলার পাঁচটি পুরসভাতে প্রচারে দলীয় নেতা কর্মীরা অংশ নিয়েছিলেন।’’