Adhir Chowdhury

রং আলাদা হলেও ওরা এক জঙ্গলের শেয়াল, তৃণমূল ও বিজেপি-কে আক্রমণে অধীর

তৃণমূল এবং বিজেপি নেতা-কর্মীদের দলত্যাগ ও বহিষ্কার প্রসঙ্গ টেনে অধীর কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘রং আলাদা হলেও এরা সবাই এক জঙ্গলের শেয়াল।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:৪১
Share:

সাংবাদিক বৈঠকে অধীর। নিজস্ব চিত্র।

নেজাজির ১২৫তম জন্মদিন উপলক্ষে কেন্দ্র ও রাজ্যের ‘পরাক্রম দিবস’ বনাম ‘দেশনায়ক দিবস’-এর লড়াই নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি-কে এক সারিতে বসিয়ে আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর কটাক্ষ, ভোটের আগেই মনীষীদের মনে পড়ছে। গত ১০ বছরে তৃণমূল সরকার এবং আজ পর্যন্ত মোদী সরকার কিছুই করেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অধীর। সেখানে তৃণমূল এবং বিজেপি নেতা-কর্মীদের দলত্যাগ ও বহিষ্কার প্রসঙ্গ টেনে অধীর কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘রং আলাদা হলেও এরা সবাই এক জঙ্গলের শেয়াল।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে অধীরের মন্তব্য, “আপনি যেমন বীজ বুনবেন তেমন ফসল পাবেন। এক সময় কংগ্রেস ভাঙিয়েছিলেন এখন নিজেকে ভুগতে হচ্ছে।” নরেন্দ্রী মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়ে এখন গণতন্ত্রকে হত্যা করছেন বলেও মন্তব্য করেন অধীর।

নেতাজির জন্মদিন পালন নিয়ে অধীরের কটাক্ষ, ‘‘দিদি এবং মোদী ভোটের সময় নানা পণ্য নিয়ে বাজারে নেমেছেন। তাই গাঁধীজি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে নেতাজিকে— কাউকেই ছাড়ছেন না। অধীরের প্রশ্ন, ‘‘গত ১০ বছরে নেতাজির জন্য কী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আর কলকাতা বন্দরের যে ডকের নাম নেতাজির নামে ছিল প্রধানমন্ত্রী সেটি পরিবর্তন করে দিয়েছেন। তার বদলে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নাম এনেছেন কলকাতা বন্দরে। এটা বাংলার মানুষ মেনে নেবেন না।’’ একই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, নেতাজির পরিবারে যাঁরা সাংসদ ছিলেন তাঁদেরও আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।

Advertisement

আগামী নির্বাচনে নিরাপত্তার বিষয়েও এক গুচ্ছ প্রশ্ন তোলেন অধীর। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় বাহিনী সব বুথের অবস্থান কোথায় তা জানে না। তার ফলে রাজ্য পুলিশের উপর নির্ভর করতে হয়। আর তাতেই তৈরি হয় সমস্যা। এ বিষয়ে তাঁর তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে বলেও জানান অধীর। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে বেশি করে জিপিএস ডিভাইস দিতে হবে। এ ছাড়াও পর্যবেক্ষকদের নিরপেক্ষ ভূমিকা এবং অভিযোগ জানানো ব্যবস্থার উপর আরও জোর দেওয়ার কথা বলেন অধীর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement