ভোটের সময় উত্তেজনা।
কেউ কেউ লিখতে জানেন না। ফলে পছন্দের প্রার্থীর নাম লেখার জন্য পরিচিতের কাছে ব্যালট পেপার নিয়ে ছুটছেন। আবার কারও কারও কাছে কলম না থাকায় তাঁরা ভোট দানের জন্য কলম খুঁজে বেড়াচ্ছেন। শনিবার ভগবানগোলার কালুখালিতে একটি ইটভাটার মাঠে তৃণমূলের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের ভোটে এমনই চিত্র দেখা গেল।
শনিবার বিকেলে তৃণমূলের নবজোয়ারে জনসংযোগ যাত্রার তাঁবু পড়েছিল কালুখালির এই মাঠে। সেখানে লালগোলা, ভগবানগোলা ১ ও ২ ব্লক, সুতি ১ ও ২ ব্লক, রঘুনাথগঞ্জ ১ ও ২ ব্লক, ফরাক্কা ও শমসেরগঞ্জের পাশাপাশি রানীনগর ১ ও ২ ব্লকের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য দলের তরফে ভোটাভুটি হয়েছে। রীতিমতো অঞ্চল ভিত্তিক বুথ তৈরি করা হয়েছিল। প্রতিটি বুথেই সশস্ত্র পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। তাঁবুতে ঢোকার মুখে প্রত্যেককে মেটাল ডিটেকটর দিতে খানাতল্লাশি করা হয়েছে।তবে এদিন কোনও কোনও অঞ্চলে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের প্রার্থী বাছাইয়ের ভোট হয়নি। যেমন রঘুনাথগঞ্জ ২ ব্লকের কাশিয়াডাঙা অঞ্চলের শুধু জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে ভোটাভুটি হয়েছে।
এদিন ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের ভোটাভুটিতে কেন্দ্র করে দুটি একটি অঞ্চলের বুথে দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে পুলিশ পরিস্থিতি বাড়তে দেয়নি।ভগবানগোলার হনুমন্তনগর অঞ্চলে বুথে পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের ভোট কেন করা হচ্ছে প্রশ্ন তুলে নেতা কর্মীরা বচসায় জড়ায়। তাঁদের মধ্যে অসন্তোষও দেখা দেয়।এদিন রঘুনাথগঞ্জের একটি অঞ্চলের বুথে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামানকে চিৎকার করতে দেখা যায়। তিনি কর্মীদের বকাবকি করছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পরে আখরুজ্জামান বলেন, ‘‘কর্মীরা এখানে খাবে না হোটেলে খাবে তা নিয়ে কথা হয়েছে। ভোটাভুটি নিয়ে কিছু বলা হয়নি।"
রাতে অভিষেক নিজেই দলের নেতাদের পরিষ্কার বলে দেন, ‘‘কেউ নির্দল হয়ে দাঁড়ালে আর দলে ফিরতে পারবেন না। দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে পরোক্ষ ভাবে কাজ করলেও দলে আর স্থান হবে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘জাবি, দলের ৯৫ শতাংশ বুথ স্তরের নেতা কর্মী দল যাঁকে প্রার্থী করবে তাঁর জন্যই লড়াই করবেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা বেশি হলে কেন্দ্র বঞ্চনা করতে পারবে না।’’