প্রতীকী ছবি।
অটোর রুটে কোন-কোন অটো চলবে তা নিয়ে লড়াই শুরু হয়েছে কাঁচড়াপাড়া-জাগুলি রুটে। এবং সেই লড়াইয়ের পিছনে মূল কারণ হিসাবে উঠে আসছে জগুলির তৃণমূল নেতা রাজীব দালালের নাম।
এই রুটে প্রায় ২০টি অটো চলে। বেশির ভাগের মালিক কাঁচরাপাড়ার লোক। বাকি ৫-৬টি রয়েছে রানাঘাটের লোকেদের হাতে।
প্রথম দিকে কাঁচরাপাড়ার লোকজনের হাতে রুটের নিয়ন্ত্রণ ছিল। ইউনিয়নের অফিসও উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ায়। বছর দু’য়েক আগে সেখানে হরিণঘাটার গোটা পাঁচেক অটো সেখানে চলতে শুরু করে। সেই সময় হরিণঘাটা শহর তৃণমূলের সভাপতি উত্তম সাহার হস্তক্ষেপেই ওই অটোগুলি পথে নেমেছিল। কিন্তু সেই অটোর মালিক ও চালকদের অভিযোগ, গত লোকসভা ভোটের ফল বের হওয়ার পর আচমকা পরিস্থিতি বদলে যায়। ইউনিয়ন থেকে ওই রুটে হরিণঘাটার সব অটো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে ওই মালিকেরা একাধিক বার উত্তম সাহা ও ইউনিয়ন অফিসে গিয়ে ধর্না গিলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ।
অটো মালিক খোকন মল্লিক ও বাবন সাহারা জানাচ্ছেন, তৃণমূলের হস্তক্ষেপেই তাঁরা রুটে অটো নামিয়েছিল। তা সত্ত্বেও এখন তাঁদের রুটে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। খোকনের দাবি, তিনি ধার করে অটো কিনেছিলেন। এখনও মাসে মাসে কিস্তির টাকা মেটাতে হচ্ছে। অথচ, তিন মাস ধরে অটো বন্ধ।
ইউনিয়নের একাধিক কর্তা এবং একাধিক অটোচালক দাবি করেছেন, আসলে জাগুলির তৃণমূল নেতা রাজীব দালালের উপর কাঁচরাপাড়ার একাধিক অটো মালিকের রাগ রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, ভোটের আগে তিনি কাঁচরাপাড়ার অটো চালককে বেধড়ক মারধর করে।
তখন রাজীব ছিলেন হরিণঘাটা পুরসভার চেয়ারম্যান। তাঁকে কাঁচরাপাড়ায় লোকজন কিছু বলতে সাহস পাননি। লোকসভা ভোটের ফলের পর রাজীবের পায়ের নীচে মাটি নড়বড়ে হওয়ায় তাঁরা এ বার মুখ খুলেছেন। অবশ্য উত্তম বলছেন, ‘‘রাজীব তো এখন ক্ষমতাহীন। এটা আমি নিজে কাঁচরাপাড়ায় গিয়ে ইউনিয়নের লোক জনকে বোঝাব। এখনও ইউনিয়নে তৃণমূলের প্রভাব রয়েছে। আশা করি সমস্যা মিটে যাবে।’’ আর রাজীবের বক্তব্য, ‘‘ভোটের আগে একটা গোলমাল হয়েছিল। তবে আমি কাউকে মারিনি। অন্য কারণে ঝামেলা। তা মিটে যাবে।’’