—প্রতীকী চিত্র।
দুর্ঘটনায় মৃত এক শিশুর দেহের খোঁজ পাচ্ছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনই অভিযোগ নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পরিবারের ভুল বোঝাবুঝিতে শিশুর দেহ লোপাটের কথা চাউর হতে হুলস্থুল পড়ে যায় জেলা হাসপাতালে। মৃত শিশুর পরিবারের দাবি, কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই আনা হয়েছে দেহ। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সে কথা অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানা এলাকার দলুইপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজু শেখের ছয় বছরের পুত্র সন্তান সিজাত শেখ পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে আসা হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা বলে নিয়ম অনুযায়ী ময়নাতদন্ত করার কথা মৃতের পরিবারকে জানানো হয়। কিন্তু ছোট শিশুর মৃতদেহে কাটাছেঁড়া করাতে চায়নি পরিবার। তাই কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে মৃত শিশুটির দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি পরিবারের। মঙ্গলবার সকালে নিয়মমাফিক দেহ গণনার সময় ওই শিশুর দেহের খোঁজ না পাওয়ায় কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক। শিশুর দেহটি পরিবারের হেফাজতে রয়েছে বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
শিশুটির আত্মীয় আকমান শেখ বলেন, “ওখানকার সিভিক ভলান্টিয়ার ও হাসপাতালের গার্ডদের বলেই দেহ আনা হয়েছে। আমরা চাইনি বাচ্চা শিশুর দেহে কাটা ছেঁড়া হোক।”