গাছ উদ্ধারে অনীহা পুলিশের, অভিযোগ

শরিকি বিবাদে শিশু-সেগুনের বাগান এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। অভিযোগ, সেই নিষেধ উড়িয়ে বাগানের প্রায় শ’খানেক গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক শরিকের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমকল শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ০১:০৩
Share:

শরিকি বিবাদে শিশু-সেগুনের বাগান এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। অভিযোগ, সেই নিষেধ উড়িয়ে বাগানের প্রায় শ’খানেক গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক শরিকের বিরুদ্ধে।

Advertisement

দিন পনেরো আগে জলঙ্গির ওই ঘটনায় এক শরিক তাঁর দাদা রেজাউল মণ্ডল, তার ছেলে রফিক সহ গাছের তিন ক্রেতার বিরুদ্ধে পুলিশ ও বন-দফতরের বহরমপুর রেঞ্জ অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ, বন দফতর বা স্থানীয় পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। শেষমেশ জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন অভিযোগকারী বাবলুল ইসলাম। তারপর পুলিশ কয়েকটি গাছের গুঁড়ি উদ্ধার করেছে মাত্র। গ্রেফতার হয়নি কোনও অভিযুক্ত।

জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘জলঙ্গি থানাকে ঘটনার তদন্ত করতে বলা হয়েছে। কিছু গাছ আটক করেছে পুলিশ।’’

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত মাস খানেক আগে। জলঙ্গির পোল্লাডাঙ্গা গ্রামে একটি বাগানের গাছ কাটা নিয়ে গণ্ডগোল বাধে শরিকদের মধ্যে। বাগানের একাংশের মালিক বাবলুল ইসলামের অভিযোগ, ‘‘প্রায় বিঘা চারেক জমিতে একটা বাগান ছিল আমাদের। দাদা রেজাউল ও তার ছেলে রফিক মণ্ডল আমাদের কিছু না জানিয়ে প্রায় ৭০টি গাছ কেটেছে। বন-দফতর ও পুলিশকে জানিয়েও ফল হয়নি। শেষে পুলিশ সুপারকে অভিযোগ জানাই।’’ বিষয়টি নিয়ে পুলিশ মুখে কুলুপ এঁটেছে। আর বন দফতরের বহরমপুর রেঞ্জের রেঞ্জার অমিতাভ পাল বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে।’’ রেজাউলের ছেলে রফিক মণ্ডল অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সাফ বলেন, ‘‘ওই বাগান নিয়ে কোনও গণ্ডগোল নেই। কোনও গাছও কাটা হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement