প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল কল্যাণীর গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে।
হুগলির কাপাসডাঙা এলাকার জয়ন্ত দাস (৪৭) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এ দিন হাসপাতালের সুপারের ঘরের সামনে রোগীর পরিবারের লোক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রোগীর পরিবারের তরফে সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
পরিবারের তরফে অভিযোগ, জয়ন্ত দাস নামে এক জন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চুঁচুড়া হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে শনিবার সকালে কল্যাণীর গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু শনি ও রবিবার সেখানকার চিকিৎসকেরা রোগীর কোনও চিকিৎসা করেননি বলে অভিযোগ। উল্টে সে কথা বলতে গেলে চিকিৎসকেরা পরিবারের লোকজনকে ধমক দেন বলে অভিযোগ। গত মঙ্গলবার রাতে ওয়ার্ডে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। দায়িত্বে থাকা নার্স ঘুমিয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সময় বুকে ব্যথা অনুভব হওয়ায় রোগী নিজেই তাঁর স্ত্রীকে ফোন করে বিষয়টা জানিয়ে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আসতে বলেন। কিন্তু ভোরবেলা তাঁর স্ত্রী এলেও তাঁকে হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মৃতের আত্মীয়া শ্বেতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বুধবার সকালে ওই হাসপাতাল থেকে মামাকে ব্যারাকপুরে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতালের দোতালা থেকে নামানোর সময় তিনি মারা যান। মামাকে অক্সিজেন মাস্ক পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।” হৃদরোগের চিকিৎসার এই হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে বুধবারের ঘটনা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘‘রোগীর অবস্থা প্রথম থেকেই আশঙ্কাজনক ছিলেন। জুনিয়র চিকিৎসকেরা নিয়মিত তাঁর চিকিৎসা করেছেন। একজন সিনিয়র চিকিৎসকও দায়িত্বে ছিলেন। ওই রোগীর ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন ছিল। সেই পরিকাঠামোই নেই হাসপাতালে।’’
যে হাসপাতালে ওপেন হার্ট সার্জারি হওয়ার কথা সেখানে ভেন্টিলেশনের পরিষেবা থাকবে না কেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। রোগীর মুখে কেন অক্সিজেন মাস্ক ছিল না, সে ব্যাপারে সুপার গোপাল দাস বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। গোটা বিষয়টা নিয়েই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”