Complain Against TMC leader

অন্যের গাড়ি ভাড়ায় খাটান, অভিযুক্ত নেতা

উত্তর ২৪ পরগনার জেটিয়া থানার কাপা-সারদা পল্লির বাসিন্দা প্রসেনজিৎ বিশ্বাস হরিণঘাটা এলাকায় একটি রেস্তরাঁয় কাজ করতেন।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

 হরিণঘাটা শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:৪৪
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অন্যের গাড়ি আটকে রেখে ভাড়া খাটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। গাড়ি মালিকের অভিযোগ, নির্বাচনের আগে দিন তিনেকের জন্য ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের কথা বলে গাড়িটি নেওয়া হয়। তার পরে আর গাড়ি ফেরত দেওয়া হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, গাড়িটি রানাঘাটের আর এক তৃণমূল নেতা ভাড়া খাটাচ্ছেন। অভিযোগ, গাড়ি চাইতে গেলে তাঁকে নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হত। শেষ পর্যন্ত তিনি পুলিশের অভিযোগ জানান। তার পরেই গাড়ি ফেরত পান। এ দিকে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দাবি, মালিকের সম্মতিতেই গাড়িটি ভাড়ায় দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার জেটিয়া থানার কাপা-সারদা পল্লির বাসিন্দা প্রসেনজিৎ বিশ্বাস হরিণঘাটা এলাকায় একটি রেস্তরাঁয় কাজ করতেন। সে সময় হরিণঘাটা পুরসভার পুরপ্রতিনিধি রাকেশ পাড়ুইয়ের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। রাকেশ টিএমসিপি-র রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি। প্রসেনজিতের অভিযোগ, রাকেশ দিন তিনেকের জন্য ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করবেন বলে তাঁর গাড়ি নিয়েছিলেন। গাড়িটি তাঁর স্ত্রী টুম্পা দাসের নামে কেনা। প্রসেনজিৎ বলেন, “রাকেশ পাড়ুই আমার গাড়ি নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছিলেন না। গাড়ি ফেরত চাইতে গেলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির পাশাপাশি পুলিশকে জানালে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন। তবে মাঝে-মধ্যে আমাকে কিছু টাকা দিতেন।” তিনি আরও বলেন, “খোঁজ নিয়ে জানতে পারি গাড়ি রানাঘাটের বাসিন্দা দীপ দেবনাথের কাছে আছে। তিনি গাড়ি ভাড়ায় খাটাচ্ছেন। তখন গাড়ি চাইতে গেলে উল্টে আমার কাছে অনেক টাকা দাবি করা হয়।” দীপ দেবনাথ টিএমসিপি-র রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি। প্রসেনজিতের দাবি, “ওঁরা শাসক দলের নেতা। কোনও ভাবেই ওঁদের সঙ্গে পেরে উঠছিলাম না। যে কারণে জেটিয়া থানায় অভিযোগ জানাতে বাধ্য হই।”

যদিও দীপ দেবনাথের দাবি, “আমি সরকারি দফতরে গাড়ি ভাড়া খাটাই। ভোটের সময় গাড়ির প্রয়োজন ছিল। সে কথা সেটা রাকেশদাকে জানাই। তখন রাকেশদা-ই গাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। পরে জানতে পারি গাড়িটা ওর।” দীপের দাবি, “গাড়ির পিছনে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছিল। আমি তার কিছুটা চেয়েছিলাম। এর বাইরে আর কিছু জানি না।”

Advertisement

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রাকেশ পাড়ুইয়ের দাবি, “প্রসেনজিৎই আমাকে গাড়িটা ভাড়া খাটানোর কথা বলেছিল, যাতে কিছু টাকা ওর আয় হয়। আমি ওর আর্থিক সমস্যার কথা শুনে গাড়িটা ভাড়া খাটাতে দিয়েছিলাম। ভাড়া বাবদ প্রায় ৬৯ হাজার টাকাও ওকে দিয়েছি। ওখান থেকে আমি একটা টাকাও নিইনি। গ্যারেজের খরচ দেবে না বলেই এখন মিথ্যে অভিযোগ করছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপ দেবনাথ ও টুম্পা দাস (গাড়ি যাঁর নামে কেনা) পরস্পরকে মুচলেকা দেন। পরে গাড়ি মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement