তৃণমূলের সদস্য বিপাকে
Complain Against Panchayat member

ভুয়ো তথ্য, জাতি শংসাপত্র বাতিল

সিপিএমের অরঙ্গাবাদ এরিয়া কমিটির সদস্য তফিজুল ইসলাম বলেন, ‘‘সুমনা দাস নামে ওই প্রার্থীর বাড়ি সুতির গাঙ্গিন গ্রামে। তার বাবা সিদ্ধেশ্বর দাস সেখানকারই বাসিন্দা।

Advertisement

বিমান হাজরা

অরঙ্গাবাদ শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:১৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ভুয়ো তথ্য দিয়ে হাতানো তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের জাতিগত শংসাপত্র বাতিল করলেন জঙ্গিপুরের মহকুমা শাসক সিঞ্জন শেখর। সিপিএম অবশ্য দাবি তুলেছে, ভুয়ো তথ্য দিয়ে জাতিগত শংসাপত্র নেওয়ার কারণে ওই তৃণমূল সদস্যের সদস্য পদ খারিজ করে তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে হবে প্রশাসনকে।

Advertisement

ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের নাম সুমনা দাস। এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি সুতি ২ ব্লকের উমরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ নম্বর সংসদে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে ৪৩ ভোটে জয়ী হন বিজেপি ও সিপিএম প্রার্থীকে হারিয়ে। এরপরই বিজেপি ও সিপিএমের পক্ষ থেকে ওই মহিলা প্রার্থীর বিরুদ্ধে শংসাপত্র জালিয়াতির অভিযোগ জমা পড়ে ব্লকের রিটার্নিং অফিসার বিডিও সমীরণ কৃষ্ণ মণ্ডলের কাছে। তিনি তা পাঠান জঙ্গিপুরের মহকুমা শাসকের কাছে, কারণ জাতিগত শংসাপত্রটি ইস্যু করেছেন মহকুমা শাসক নিজেই।

সিপিএমের অরঙ্গাবাদ এরিয়া কমিটির সদস্য তফিজুল ইসলাম বলেন, ‘‘সুমনা দাস নামে ওই প্রার্থীর বাড়ি সুতির গাঙ্গিন গ্রামে। তার বাবা সিদ্ধেশ্বর দাস সেখানকারই বাসিন্দা। জাতিগত ভাবে তারা সাধারণ সম্প্রদায়ের মানুষ।উমরাপুর গ্রাম তাঁর শ্বশুরবাড়ি। নিজেকে উমরাপুরের ধানক সম্প্রদায়ের বাসিন্দা পরিচয়ে গত ২৩ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে ওবিসির শংসাপত্র পান তিনি। পঞ্চায়েতে নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের সঙ্গে সেই শংসাপত্র জমা দিয়ে ওবিসি সংরক্ষিত আসনে লড়াই করেন।’’

Advertisement

বিডিও বলেন, ‘‘তদন্তে ধরা পড়েছে ভুয়া তথ্য দিয়ে ওই শংসাপত্র নেওয়া হয়েছে। দু’জন প্রার্থী অভিযোগ করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে মহকুমা শাসক সুমনা দাসের সরকারি শংসাপত্রটি বাতিল করেছেন। তবে উমরাপুরের ওই আসনে ফের ভোট নেওয়া হবে নাকি দ্বিতীয় প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হবে সে সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন।”

সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য অমল চৌধুরী বলেন, ‘‘অবিলম্বে যদি দ্বিতীয় স্থানাধিকারীকে জয়ী ঘোষণা না করা হয়, তা হলে তা হাইকোর্টে জানানো হবে।’’ তবে সুমনা দাসের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কথা বলতে অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে আইনে যা ব্যবস্থা রয়েছে প্রশাসন সেটাই করবেন। তবে সুতি ২ ব্লকের উমরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ডে ক্ষমতার কোনও হেরফের হবে না এতে। কারণ ২৮টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement