কলেজের তথ্য চুরির অভিযোগে পুলিশ কলেজের অস্থায়ী কর্মী আকবর আলিকে গ্রেফতার করেছে। এ দিকে, ডোমকল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, কোনও তথ্যই চুরি যায়নি। পুলিশের পাল্টা দাবি, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন, অভিযোগ করল কে? পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ জানিয়েছে টিএমসিপি।।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ডোমকল থানার সামনে অবস্থানে বসেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবাশিস বন্দোপাধ্যায়। তিনি জানান, মূল অফিসের সঙ্গে দূর শিক্ষার অফিসের কোনও সংযোগ নেই। বৃহস্পতিবার ওই কর্মী ছিলেন দূরশিক্ষা বিভাগে।
এ দিন দুপুরে আচমকা টিএমসিপির কর্মী-সমর্থকেরা কলেজে ঢোকে। তাদের অভিযোগ, আকবর ভোট সংক্রান্ত নথি লোপাট করছেন। প্রতিবাদ করলে তাঁদের মারধর করেন ওই কর্মী।
তৃণমূল নেতা সৌমিক হোসেনের দাবি, ‘‘ওই কর্মী তথ্য পাচার করছিলেন। এক ছাত্রকে তিনি মারধরও করেন।’’ যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নারায়ণ দাসের অভিযোগ, ‘‘সামনেই নির্বাচন। বিরোধীদের চাপে রাখতেই এ সব করা হচ্ছে।’’
এক সময় ওই কলেজের বাম ছাত্র নেতা আকবর ২০০৫ সালে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে যোগ দেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, এখন সব তথ্যই মেলে অনলাইনে। অতএব তথ্য পাচারের অভিযোগ ধোপে ঢেকে না। দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘পুলিশ কখনও তথ্য চুরি আবার কখন বা খুনের চেষ্টার কথা বলছে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে।’’ জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কলেজ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’