মৃত ছাত্রী সুস্মিতা মণ্ডল। — নিজস্ব চিত্র।
জ্বর-সহ ডেঙ্গির একাধিক উপসর্গ নিয়ে রানাঘাটের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কলেজ ছাত্রী। পরিবারের অভিযোগ, অবস্থার অবনতি হলে ওই ছাত্রীকে অন্য হাসপাতালে রেফার করেন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তির সঙ্গে সঙ্গেই ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, চিকিৎসার গাফিলতিতেই ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। তবে এই নিয়ে রানাঘাটের ওই বেসরকারি হাসপাতালের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
মৃতার নাম সুস্মিতা মণ্ডল। বয়স ২০ বছর। শান্তিপুর থানার অন্তর্গত পুলতা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। রানাঘাট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। জ্বর হওয়ার পর প্রথমে হবিবপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। ছাত্রীর শরীরে ডেঙ্গির উপসর্গ ছিল। সে কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রানাঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হতেই সুস্মিতাকে নার্সিংহোম থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আবার তাঁকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শুরু হলেও কিছু সময়ের মধ্যেই মৃত্যু হয় সুস্মিতার।
এর পরেই পরিবার আঙুল তুলেছে বেসরকারি হাসপাতালের দিকে। মৃতের দাদা অনিমেষ মণ্ডল বলেন, ‘‘শহর তথা নদিয়া জেলার অন্যতম ব্যয়বহুল বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বলে কিছুই নেই। উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলে বোনটার মৃত্যু হত না। ওদের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’