—প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ উঠল ঘাসফুল শিবির ছেড়ে যাওয়া এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সোমবার এ নিয়ে শোরগোল নদিয়ার শান্তিপুর থানার গয়েশপুর পঞ্চায়েতের সগুনা এলাকায়। জখম ওই সিভিক ভলান্টিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে দলত্যাগ করে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী। নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ওই গোষ্ঠীর এক জন। কিন্তু নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই তাঁর উপর ক্ষোভে ফুঁসছিল ওই গোষ্ঠী। এই কারণেই তাঁর উপর হামলা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তেরা। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আক্রান্ত শরিয়ত মণ্ডলের অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে প্রার্থিপদ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। ব্লক নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁর স্ত্রী ইসমাতারা বিবি প্রার্থী হন। তাতেই ক্ষোভপ্রকাশ করে দলত্যাগ করেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা শাকিব শেখ। নির্দল প্রার্থী হিসাবে শাকিবের স্ত্রী তকবিরা বিবিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নামিয়ে দেন তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। কিন্তু আকস্মিক অসুস্থতায় ভোটের পর পরই মৃত্যু হয় শাকিবের। যদিও মৃতের পরিবারের দাবি, ষড়যন্ত্র করে শাকিবকে হত্যা করা হয়েছে। সেই সন্দেহের তির ছিল গয়েশপুর পঞ্চায়েতের বর্তমান তৃণমূল সদস্যার স্বামী শরিয়তের উপর। সিভিক ভলান্টিয়ারের দাবি, ওই মিথ্যা অভিযোগেই তাঁর উপর অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়েছিল শাকিবের গোষ্ঠী।
পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত শরিয়ত শান্তিপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কর্মরত। আক্রান্ত ওই সিভিক ভলান্টিয়ার অভিযোগ করেছেন, তাঁকে ফোন করে ডেকে আক্রমণ করা হয়। পঞ্চায়েত ভোটে যিনি নির্দল প্রার্থী ছিলেন, তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।