Sourced by the ABP
সনাতনী নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পরে ভারত-বাংলাদেশ সর্ম্পকের অবনতির জেরে কল্যাণী এমসে চিকিৎসা করাতে আসতে পারছেন না বাংলাদেশের বহু রোগীই। যাঁরা আগে দেখিয়ে গিয়েছেন, ভারতে আসার ভিসা না মেলায় তাঁদের অনেকেই ‘ফলোআপ ট্রিটমেন্ট’ করাতে পারছেন না।
নদিয়া জেলা বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া। খুব সহজেই গেদে অথবা বনগাঁ স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশ থেকে এসে পৌঁছে যাওয়া যায় কল্যাণীতে। সেখানে সম্প্রতি চালু হওয়া এমস হাসপাতালে ভারতীয় নাগরিকদের পাশাপাশি বাংলাদেশিরাও স্বল্প খরচে চিকিৎসা পান। ফলে বাংলাদেশের অনেক রোগীই এখন চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ ভারতমুখী না হয়ে কল্যাণীতে আসছেন।
কল্যাণী এমস সূত্রের খবর, বহির্বিভাগে বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা অর্ধেকের চেয়েও কমে গিয়েছে। আগে যেখানে মাসে অন্তত আড়াইশো বাংলাদেশি চিকিৎসা করাতে আসতেন, এখন সেই সংখ্যাটা কমে ১২০-র নীচে চলে গিয়েছে। ভিসা-র সমস্যায় আসতে না পারায় অনেক বাংলাদেশি রোগী এখন পরামর্শ চেয়ে হাসপাতালে ইমেল করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোমবার দুপুরে বাংলাদেশের পাবনার এক বাসিন্দা বলেন, "ছেলের জন্মের পর থেকেই পেটের ব্যামো। ঢাকায় বড় হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েও লাভ হয়নি। দু’মাস আগে ভারতে গিয়ে কল্যাণীর এমস হাসপাতালে চিকিৎসা করাই। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষাও হয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আবার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভিসার সমস্যায় তা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক কষ্টে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁরা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।"
কল্যাণী এমসের জনসংযোগ আধিকারিক চিকিৎসক সুকান্ত সরকার বলেন, "বাংলাদেশের অনেক রোগী যাঁরা আগে এখানে চিকিৎসা করিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা এখন আমাদের ইমেল করছেন। তাঁদের ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে। তাই তাঁরা জানতে চাইছেন, যে ওষুধ আগে তাঁদের দেওয়া হয়েছিল, তা-ই চালিয়ে যাবেন কিনা। সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকেরা ইমেল মারফত তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে অবস্থা বুঝে রোগীদের ছয় মাস বাদে চিকিৎসা করাতে আসার জন্য দিন দেওয়া হচ্ছে।" তিনি জানান, ভিসা অফিস থেকেও ইমেল আসছে কল্যাণী এমসে। রোগীর বিবরণ দিয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে ‘ফলোআপ ট্রিটমেন্ট কতটা জরুরি। হাসপাতাল থেকে তাদেরও জবাব দেওয়া হচ্ছে।