‘হলুদ বাচ্চা’র জন্যও এ বার ‘শিশু সমৃদ্ধি’

পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি তাদের বিশেষ চিকিৎসা পরিষেবাও দেওয়া হবে। শিশুর পারিবারিক অবস্থা খারাপ হলে গোটা পরিবারকে একাধিক সরকারি প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৯ ০৪:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

অতি অপুষ্ট বাচ্চাদের চিহ্নিতকরণের সুবিধার জন্য সমাজকল্যাণ দফতর থেকে ‘লাল বাচ্চা’ বিশেষণ দেওয়া হয়েছে। তাদের পুষ্টি বাড়াতে নদিয়া প্রশাসন ‘শিশু সমৃদ্ধি প্রকল্প: চালু করেছিল। তাতে বিশেষ সাফল্য মেলায় এবার মাঝারি অপুষ্ট বা যাদের প্রশাসনিক ভাষায় ‘হলুদ বাচ্চা’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয় তাদেরও ওই প্রকল্পের আওয়াত নিয়ে আসা হল।

Advertisement

পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি তাদের বিশেষ চিকিৎসা পরিষেবাও দেওয়া হবে। শিশুর পারিবারিক অবস্থা খারাপ হলে গোটা পরিবারকে একাধিক সরকারি প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আইসিডিএস, স্বাস্থ্য ও পঞ্চায়েত দফতর সম্মিলিত ভাবে এই প্রকল্পটি তৈরি করা করেছে।

২০১৭ সালে জেলা জুড়ে সমীক্ষা চালানোর পর দেখা গিয়েছিল, জেলার ৫১৭ জন ‘লাল বাচ্চা’ অপুষ্ট বাচ্চা আছে। শিশু সমৃদ্ধি প্রকল্পে তাদের দেওয়া হচ্ছিল দিনে অতিরিক্ত ২০০ মিলিলিটার করে দুধ। তাদের মায়েদের দেওয়া হচ্ছিল একটা করে ডিম। সেই সঙ্গে যে সব শিশুর বিশেষ ভাবে চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল তাদের সেই পরিষেবার ব্যবস্থা করেছিল স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

জটিল শারীরিক অবস্থাসম্পন্ন শিশুদের জন্য জেলা হাসপাতালে তৈরি করা হয়েছিল ‘এনআরসি’ বা ‘নিউট্রেশন রি-হ্যাবিলিটেশন সেন্টার’। সেখানে ওই বাচ্চা ও তাদের মায়েদের নিয়ে এসে রেখা দেওয়া হত। সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার ও যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হত। পরিবারের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হলে তাদের একশো দিনের কাজ প্রকল্প থেকে শুরু করে আনন্দধারা, এসএসডিপি লোন, গতিধারা, মাতৃসুরক্ষা যোজনার মতো প্রকল্পের আওতায় আনা হত। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে চাল-সহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাদ্যের ব্যবস্থা হয়েছিল। ২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এই প্রকল্প শুরু হয়। ২০১৮ সালের মে মাসে এসে দেখা যায়, লাল বাচ্চার সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৭৮।

এই সাফল্যের পর প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, এ বার মাঝারি অপুষ্ট শিশুদের এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে। জেলায় মোট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংখ্যা ৬৮১১টি। তার মধ্যে ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১০৫৬টি কেন্দ্রে ৭৩২৪জন হলুদ বা মাঝারি অপুষ্ট শিশু আছে।

তবে লাল বাচ্চাদের মত তাদের দুধ ও তাদের মায়েদের ডিম দেওয়া হবে না। কিন্তু তারা চিকিৎসা পাবে এবং যাতে তাদের পরিবার স্বনির্ভর হয় তার জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।

আইসিডিএস এক জেলা আধিকারিক ভাষ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘প্রায় ছ’ মাস ধরে চলবে এই কর্মসূচি। তার পর গোটা বিষয়ের ফলাফল খতিয়ে দেখা হবে। কতটুকু উন্নতি হয়েছে খতিয়ে দেখে তার পর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement