সেজে উঠেছে সেই পার্ক। নিজস্ব চিত্র
কাঁটাতার বিছিয়ে থাকা সীমান্ত লাগোয়া প্রত্যন্ত গ্রামের প্রান্তে সবুজে ঘেরা মাঠে বসেছে স্লিপার, দোলনা, ঢেঁকি। যাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, সেই শিশুদের কাছে এটা যেন স্বপ্নপূরণ! শিশুউদ্যানে গড়ে এলাকার কচিকাঁচাদের চোখে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়ে উঠেছে লালগোলা ব্লকের বিলবোরাকোপরা পঞ্চায়েত। ফলে এখন আর খেলাধুলা করে ধুলো গায়ে মেখে বাড়ি ফেরার দিনের অবাসন ঘটেছে। এ যেন গাঁয়ের মায়েদের কাছে পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনা!
গ্রামের অধিকাংশ মানুষই দিন মজুর। কয়েক ঘর মৎস্যজীবীও রয়েছেন। সীমান্তের প্রত্যন্ত বয়রা গ্রামে শিশুউদ্যান গড়ে উঠবে আর বিকেল হতে না হতেই সেই শিশুউদ্যানে গ্রামের খুদেরা দাপাদাপি করবে— এটা ছিল লালগোলার বিলবোরাকোপরার বাসিন্দাদের কাছে ছিল স্বপ্নের মত। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে স্থানীয় বিলবোরকোপরা পঞ্চায়েত। পদ্মাপাড়ের মনোরম প্রকৃতিতে শিশুউদ্যান গড়েছে তারা। বিলবোরাকোপরার প্রধান আলমগির বলেন, ‘‘স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, এলাকায় শিশুদের খেলাধুলোর জন্য একটি পার্ক গড়ে উঠুক। সেটা মাথায় ছিল আমাদের। পদ্মার পাড়ে বিকেলে বয়স্কদের বসার ব্যবস্থা করাও জরুরি ছিল। দীর্ঘদিনের দাবি সেটা। সকলের মন রাখার
চেষ্টা করা হয়েছে।’’শনিবার ওই উদ্যানের উদ্বোধন করেন মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সুদীপ্ত পোড়েল। উদ্যান তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা। কংক্রিটের খুঁটি পুঁতে লোহার জাল দিয়ে ঘেরা হয়েছে উদ্যান। সেখানে শিশুদের জন্য রয়েছে স্লিপার, দোলনা ও ঢেঁকি। বয়স্কদের বসার জন্য হয়েছে বেঞ্চ। হাঁটার রাস্তা। পার্কে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর শেখ বললেন, ‘‘আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, এলাকায় শিশুদের খেলাধুলোর জন্য একটি পার্ক গড়ে উঠুক। বাচ্চাগুলোর খেলার কোনও জায়গা ছিল না। অবশেষে পঞ্চায়েত পার্ক তৈরি করল ওদের জন্য। পদ্মার পাড়ে বিকেলে বয়স্কদের বসার ব্যবস্থা করাও জরুরি ছিল। উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’’