আট মাসের শিশুর মৃত্যুতে শোকার্ত পরিজন। নিজস্ব চিত্র
চিকিৎসককে দেখিয়ে আট মাসের রেহানকে নিয়ে অটোয় বাড়ি ফিরছিল গোটা পরিবার। পথে সেই অটোয় ধাক্কা মারল গাড়ি। ঠাকুমার কোল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে মৃত্যু হল রেহানের।
মঙ্গলবার রাতে শিমুরালি চৌমাথার কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর। তার বাবা-মাকে আহত অবস্থায় কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই হাসপাতালেই রেহানের ময়নাতদন্ত হবে।
রেহানের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন থেকে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। গত কয়েক দিন তার অসুস্থতা নিয়ে এমনিতেই দুশ্চিন্তায় ছিল গোটা পরিবার। মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুমা ছাড়াও হরিণঘাটার বিরহীতে রেহানকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা হারান মণ্ডল এবং মা রিনা মণ্ডল। রাতে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
চাকদহ থানার রাউতাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের যাত্রাপুরে রেহানদের বাড়ি। বুধবার সকালে সেখানে গিয়ে দেখা গেল, গোটা এলাকায় শোকের ছায়া। অঝোরে কেঁদে চলেছেন তার ঠাকুমা জাহানারা মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘‘ডাক্তারবাবু বলেছিলেন, রেহান এখন বেশ ভাল আছে। কথাটা শোনার পর মনটাও আনন্দে ভরে গিয়েছিল। নাতিকে কোলে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম, পথে সব শেষ হয়ে গেল।’’
ওই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন অটোর আরেক যাত্রী কানাই ঘোষ (৫৫)। রাউতাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষপাড়ায় বাড়ি তাঁর। এই দিন দুপুরে হরিণঘাটার তেলিগাছায় মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই ফেরার সময় ওই ঘটনা ঘটে। কানাইয়ের দাদা গণপতি ঘোষ বলেন, “মেয়ের বাড়িতে পুজোর জামাকাপড় দিতে গিয়েছিল। আর বাড়ি ফেরা হল না। শুনেছি জাগুলিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।”