—নিজস্ব চিত্র।
সিবিআইয়ের কয়লা পাচার মামলায় চার্জ গঠন আরও পিছিয়ে গেল। শুক্রবার চার্জশিটে নাম থাকা ৫০ জন অভিযুক্তই আসানসোল আদালতে এসেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চার্জ গঠন না হওয়ায় মামলা সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করেই তাঁদের চলে যেতে হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ সেপ্টেম্বর।
আদালত সূত্রে খবর, ‘চুরি’ যাওয়া কয়লা কেনার অভিযোগ ওঠায় এক সংস্থার মালিকের নাম জড়িয়েছে এই মামলায়। তাঁর নাম রয়েছে চার্জশিটে। কিন্তু সংস্থাটিকে বর্তমানে দেউলিয়া ঘোষিত হয়েছে। সেই সংস্থার এখনকার মালিককেও তলব করেছে আদালত। পরবর্তী শুনানির দিন ৫০ জন অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁকেও হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
এই মামলার চার্জশিটে ‘উল্লেখযোগ্য’ নামের মধ্যে রয়েছেন বিনয় মিশ্র। কিন্তু এখনও তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। আরও কয়েক জনকে এখনও সিবিআই গ্রেফতার করতে পারেনি। নতুন চার্জশিটে যাঁদের নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে কয়লা কারবারি মহম্মদ শাকিল (গ্রেফতার হননি), তারকেশ্বর রায়ের (গ্রেফতার হননি) নাম ‘উল্লেখযোগ্য’। রয়েছে ধৃত অশ্বিনীকুমার যাদব, শ্রীমন্ত ঠাকুর এবং বিদ্যাসাগর দাসের নাম। এ ছাড়াও ইসিএলের জেনারেল ম্যানেজার অমিতকুমার ধর এবং নরেশকুমার সাহার নাম রয়েছে। কয়লাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা, জয়দেব মণ্ডল, নারায়ণ নন্দ-সহ বেশ কয়েক জন ‘কয়লা মাফিয়া’ সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য রয়েছেন সিবিআইয়ের তৈরি অভিযুক্তের তালিকায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কয়লা পাচারের টাকাপয়সার লেনদেনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল অভিযুক্তদের।