—নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর গত ৫ অগস্ট ব্রিগেডে সমাবেশ করেছিল এসইউসি। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল, সেই সমাবেশের আয়োজনে তাদের পরিকাঠামোগত সহায়তা করেছিল তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের তরফে প্রকাশ্যে সে কথা স্বীকার করা না হলেও বিষয়টি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতিতে। এই দুই দল এ বার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল নদিয়ায়। বোমা-গুলিতে জখমও হয়েছেন দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন। রবিবার পলাশিপাড়া থানার বারুইপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
এসইউসির অভিযোগ, রাতে দলীয় কর্মী সহিদুল মল্লিকের বাড়িতে বোমাবাজি করে তৃণমূল আশ্রিত কয়েক জন দুষ্কৃতী। হামলার খবর পেয়ে সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা ছুটে এলে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। এসইউসির দাবি, তাদের তিন কর্মী জখম হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছে দলীয় কর্মী আরমান শেখ। পাল্টা শাসকদলও তাদের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ তুলেছে। তাদের দাবি, বোমার আঘাতে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী গোলাম মোস্তফা মল্লিক জখম হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃশানু রায় বলেন, ‘‘পুলিশ পৌঁছেছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে । গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
এসইউসি, সিপিএম এবং বিজেপি হাত মেলানোয় পলশুণ্ডা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়তে পারেনি শাসক তৃণমূল। যার জেরে রবিবারের এই সংঘর্ষ বলে মনে করা হচ্ছে। এসইউসি-র পক্ষ থেকে অঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকা ঘিরে ধরে আমাদের সমর্থকদের লক্ষ্য করে বোমা-গুলি চালিয়েছে। পুলিশকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি। আমাদের তিন জন সমর্থক আহত। এক জন গুলিবিদ্ধ।’’ কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত দখলের পর থেকেই বাম-বিজেপি সমর্থকেরা মিলে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। আমাদের দু’জন কর্মী আহত।’’