রাস্তা পরীক্ষা করছেন পর্যবেক্ষকেরা। বুধবার করিমপুরে। নিজস্ব চিত্র
তৃতীয় দিনে মূলত করিমপুরেই একশো দিনের কাজ ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের পরিদর্শনের কাজ সারল কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। সোমবার ও মঙ্গলবার নাকাশিপাড়ার পর বুধবার তাদের অধিকাংশ সময় কাটল করিমপুর ১ ব্লকের করিমপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে।
এ দিন করিমপুর ১ ও ২ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে ঘুরে দেখার কথা ছিল দুই পর্যবেক্ষকের। প্রথমে কোন পঞ্চায়েতে তাঁরা যাবেন, তা নিয়ে সকাল থেকেই দ্বিধার মধ্যে ছিলেন দুই ব্লকর কর্মীরা। শেষমেশ দুপুর ১২টা নাগাদ করিমপুর ১ পঞ্চায়েতে হাজির হন তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন করিমপুর ১-এর বিডিও অনুপম চক্রবর্তী। ব্যস্ত হয়ে পড়েন পঞ্চায়েতের কর্মীরা।
বিভিন্ন কাগজপত্র খতিয়ে দেখার পরে উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলতে চান পর্যবেক্ষকেরা। এ দিন পঞ্চায়েতে তেমন ভিড় না থাকলেও সকালেই কিছু উপভোক্তা এসে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের একটি ঘরে ডেকে কথা বলেন পর্যবেক্ষকেরা। পরে সেনপাড়ার আসিয়া বিবি শেখ বলেন, “আমরা আবাস যোজনার ঘর পেয়েছি কি না, নিজেরাই সেই ঘর তৈরি করেছি কি না এ সব বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন ওঁরা।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা বলেন, “ঘর পেতে ঘুষ লেগেছে কি না, তা-ও ওঁরা জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, পঞ্চায়েত সাহায্য করেছে, সব ঠিক আছে।” মধ্য গোপালপুরের সন্তোষ মণ্ডলকে পর্যবেক্ষক প্রশ্ন করেছিলেন, একশো দিনের কাজে মজুরি ঠিকঠাক পান কি না। সন্তোষ বলেন, “সব কিছুই ঠিকঠাক চলছে।”
উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার রাস্তা দেখতে বেরোন পর্যবেক্ষকেরা। সঙ্গে যান করিমপুর ১ বিডিও। তাঁরা প্রথমে যান গোপালপাড়ায়। সেখানে রাস্তার দৈর্ঘ্য-প্রস্থ মাপার পরে পঞ্চায়েতের ইঞ্জিনিয়ারের কাছে পর্যবেক্ষকেরা জানতে চান, কত বস্তা বালি, সিমেন্ট এবং পাথর ব্যবহার হয়েছে। রাস্তার ধার একটু ভেঙে ব্যবহৃত সামগ্রীর গুণমানও তাঁরা পরীক্ষা করেছেন। পরে একশো দিনের প্রকল্পে সংস্কার হওয়া মধ্য গোপালপুরের একটি পুকুর দেখে তাঁরা করিমপুর ১ পঞ্চায়েত অফিসে ফিরে যান।