প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রের আনা নতুন আইনের বিরোধিতা ঘিরে বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়েছিল জেলার বেশ কিছু এলাকা। তার জেরে গত কয়েকদিন ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ গোটা মুর্শিদাবাদ জেলায়। তা নিয়ে ভোগান্তিরও শেষ নেই সাধারণ মানুষের। কিন্তু এরই মধ্যে ‘মুশকিল-আসান’ হয়ে উঠেছে একদল ‘হ্যাকার’।
সূত্রের খবর, ওই হ্যাকারেরা নতুন একটি সফটঅয়্যার আমদানি করেছে, যেটি স্মার্টফোনে ব্লুটুথের মাধ্যমে জুড়ে দিলেই কেল্লাফতে। একেবারে বিনা পয়সায় দেদার পাওয়া যাচ্ছে ইন্টারনেট পরিষেবা। আর সেই পরিষেবা লুটেপুটে নিতে মাঠে নেমে পড়েছেন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের একাংশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষ করে কমবয়সী ছেলেমেয়েরাই হ্যাকারদের কাছে ছুটছে ওই পরিষেবা পেতে। তবে ইন্টারনেটে এই পরিষেবা পাওয়া গেলেও মোবাইলে লোকেশন হিসেবে ভারতের নাম দেখাচ্ছে না। তার পরিবর্তে লোকেশন হিসেবে স্ক্রিনে ভেসে উঠছে ব্রিটেন, জার্মানি-সহ ইউরোপের কয়েকটি দেশের নাম কিংবা পতাকা।
ডোমকল মহকুমায় বিশেষ করে ডোমকল শহরে ‘নেটবন্দি’র কয়েকদিন এ ভাবেই নিজেদের ফোনে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু রেখেছেন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের একাংশ। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইউটিউব থেকে সব কিছুই তাঁরা চালু রেখেছেন এ ভাবে। তবে সবটাই হচ্ছে গোপনে। ডোমকলের এমনই এক স্মার্টফোন ব্যবহারকারী যুবক বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘নেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর খুবই সমস্যা হচ্ছিল। গত মঙ্গলবার জানতে পারি নতুন এই কৌশলের কথা। তারপর আর দেরি করিনি। হ্যাকারদের কাছ থেকে আমার মোবাইলে ওই সফটঅয়্যার ডাউনলোড করে নিয়েছি। এখন পরম নিশ্চিন্তে ব্যবহার করছি ইন্টারনেট পরিষেবা।’’
ডোমকলে শয়ে শয়ে তরুণ-যুবা এখন এ ভাবেই ইন্টারনেটের পরিষেবা চালু রেখেছেন নিজেদের মোবাইলে। তাঁরা সকলেই বলছেন, ‘মেরে পাস নেট হ্যায়।’ জনৈক স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর অবশ্য বললেন, ‘‘কেবলমাত্র ডাউনলোডের ক্ষেত্রে এই ইন্টারনেট পরিষেবা কিছুটা দুর্বল। এ ছাড়া, বাদবাকি কাজকর্ম সবটাই মসৃণভাবে করা যাচ্ছে।’’
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, বেআইনি নেট ব্যবহার বন্ধ করতে তাঁরা শীঘ্রই পদক্ষেপ করবেন।