বাজার জমবে, আশায় ব্যবসায়ীরা
বেতন হোক, বা বোনাস। যাঁদের পাওয়ার কথা, হাতে চলে এসেছে। তবুও পুজোর আগের রবিবারের চেনা ছবি দেখা গেল না। বেলডাঙার প্রধান মোড়গুলো লাগোয়া বাজারের হাতে গোনা দোকানে সন্ধ্যার পরে ভিড় দেখা গিয়েছে। কিন্তু সামগ্রিক অর্থে পুজোর আগের যে চনমনে বাজার সেটা জমেনি। ফলে ইদের আগের বাজার না পেয়ে যারা প্রতীক্ষায় ছিলেন পুজো বাজারের, তাদের আক্ষেপ মেটেনি।
কিন্তু দোকান সেজেছে। অনেক দোকানে রং হয়েছে। ভিতরের সজ্জাও বদলানো হয়েছে। দোকানের নামের বোর্ডও নতুন করে লাগানো হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাটের মান এ বার ভাল। ধানেরও বিক্রি এ বার ভাল হয়েছে। তাই পুজো আর একটু এগিয়ে এলে বাজার ঠিকই জমে যাবে। সেই অপেক্ষাতেই তাঁরা নতুন করে দোকান সাজিয়েছেন।
তাঁদের অবশ্য ধারণা, ট্রেন যদি চলতে শুরু করে, তা হলে বাজার দ্রুত জমবে। ট্রেন বন্ধ থাকায় কলকাতার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। অনেকে অবশ্য সড়ক পথেই কলকাতা থেকে জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন।
বেলডাঙা পুরসভা এলাকার প্রধান বাজার বর্তমানে পাঁচরাহা কেন্দ্রিক। তারপর ছাপাখানা, বড়ুয়া, বেলডাঙা মারুই লাগোয়া বাজার। তার মধ্যে বড় দোকান পাঁচরাহায়। সেই বাজারের কিছু দোকানে ক্রেতাদের দেখা গিয়েছে। দিনের বেলা, বিকেল, সন্ধ্যার পর। ছাপাখানা মোড় লাগোয়া বাজারের হাতে গোনা দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনা দেখা গেলেও ভিড় অন্য বারের মত হয়নি। বেলডাঙা নেতাজি পার্ক লাগোয়া এলাকার কয়েকটি দোকানে সন্ধ্যার পরেও ক্রেতাদের দেখা গিয়েছে। মূলত পোষাকের দোকানে ভিড়। তা ছাড়া মনোহারী ও মহিলাদের অঙ্গসজ্জার সামগ্রীর দোকানে ভিড় ছিল। বেলডাঙা কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক শঙ্কর চৌধুরী বলেন, “অন্য বারের তুলনায় বাজার খারাপ। তবে ভাল হবে বলে আশা করছি।”