Kali Puja

প্রায় শব্দহীন, তবু নিঃশব্দ রইল না রাত

গ্রামের দিকেও শব্দবাজি তেমন না ফাটলেও আতসবাজির প্রকোপ রাতের দিকে নজর এড়ায়নি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২০ ০০:৫৪
Share:

পুড়ল বাজি। নিজস্ব চিত্র।

চেনা জৌলুস নয়, চেনা শব্দও নেই। তবে একেবারে নিঃশব্দ দীপাবলির রাত যে হবে না, তা আঁচ করেছিল পুলিশ। সে আশঙ্কা কিঞ্চিৎ সত্যিও হল শনিবার।

Advertisement

এ দিন সন্ধে পর্যন্ত বাজির পোড়া গন্ধের খোঁজ মেলেনি বহরমপুরে। তবে রাত ক্রমশ আঁধার হলেই পাড়ার গলি কিংবা খোলা মাঠ মাঝে মধ্যেই শব্দময় হয়ে উঠেছে। কোথাও বা অভিভাবকদের প্রশ্রয়েই বাজি পোড়াতে দেখা গিয়েছে কচিকাঁচাদের। প্রশ্ন করলে উত্তর এসেছে, ‘ও সামান্য ফুলঝুরি তো!’

জঙ্গিপুর, রঘুনাথগঞ্জ-এলাকাতেও প্রায় একই অভিজ্ঞতা হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিধির বালাই তুলে দিয়ে রাস্তার মোড়ে শব্দ বাজির বদলে আতসবাজির রমরমা চোখে পড়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে নালিশও জানিয়েছেন অনেকে। আতসবাজির ধোঁয়ায় ভরে ওঠা গলি-রাস্তা দেখে দু’এক জায়গায় পুলিশ ছুটেও গিয়েছে, কিন্তু তার আগেই নিয়ম না-মানার কারিগরেরা উধাও হয়ে গিয়েছে। এর পরেই ওই সব এলাকায় পুলিশি টহল শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

কোভিড-বিধি মেনে শব্দ এমনকি আতসবাজি বিক্রি এবং পোড়ানো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো রাজ্য জুড়ে নিষিদ্ধ হয়েছে শব্দময় বাজি এমনকি আতসবাজিও। কিন্তু পুলিশের নির্নিমেষ টহরদারির পরেও যে সুযোগ বুঝে বাজি ফাটবে, সে আশঙ্কা ছিল পুলিশেরই। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘মানুষের এই সামান্য সচেতনতাটুকু না ফিরলে পুলিশ তো বেয়নেট উঁচিয়ে মানুষকে সচেতন করতে পারে না। আমরা জানতাম কিছু বিধি-ভাঙা মানুষ এ কাজ করবে। তারা তা করেওছে।’’

গ্রামের দিকেও শব্দবাজি তেমন না ফাটলেও আতসবাজির প্রকোপ রাতের দিকে নজর এড়ায়নি। তুলনায় কম হলেও খোলা মাঠে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পুড়েছে সেই সব বাজি। পুলিশের খতিয়ান বলছে, তুলনায় শহরাঞ্চলে বাজির উৎপাত কম হয়েছে। বহরমপুর শহর লাগোয়া গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও আতসবাজির রমরমা লক্ষ্য করা গিয়েছে। বেশ কিছু সাধারণ মুদির দোকানেও এ দিন বাজি বিক্রি হয়েছে বলে পুলিশের কাছে খবর থাকায় সেই সব দোকানে তল্লাশিও চালায় পুলিশ। বাজি বিক্রির অভিযোগে সারা জেলায় চার জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। রুজু হয়েছে সাতটি মামলাও। মুর্শিদাবাদের দু’টি পুলিশ জেলার উদ্যোগে গত কয়েক দিনে ২৫ হাজার বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যার মূল্য প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘বাজি বিক্রি বন্ধে যেমন সজাগ থেকেছে পুলিশ তেমনই বাজি পোড়ানো ক্ষেত্রেও সতর্ক রয়েছে পুলিশ। অভিযোগ এলেই পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement