ফাইল চিত্র
শীত পড়তেই সুতির সীমান্ত ফিরল চেনা চেহারায়। শনিবার গরু পাচারকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিএসএফের। আত্মরক্ষার জন্য বিএসএফকে গুলিও চালাতে হয় বলে জানা গিয়েছে।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গের মুখপাত্র রবি রঞ্জন জানান, বিএসএফের মালদা রেঞ্জের ৭৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানেরা এ দিন বিশেষ অভিযান চালাচ্ছিলেন বাজিতপুরের সীমান্তে। তখনই তাঁদের নজরে আসে একদল লোক গরু নিয়ে সীমান্তের পথে এগোচ্ছে। তাদের হাতে লাঠি, বড় টর্চ, নানা ধরনের অস্ত্র ছিল। জওয়ানেরা তাদের বাধা দিলে তারাও পাল্টা হামলা চালায় জওয়ানদের উপরে। আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে।
বিএসএফের এক আধিকারিক অজয় কুমার বলেন, “আত্মরক্ষার কারণেই তখন এক রাউন্ড গুলি চালানো হয়। দুষ্কৃতীরা কুয়াশা ও অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ১৭টি গরু আটক করা হয়েছে।”
পুলিশ ও বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু বাজিতপুর সীমান্ত দিয়েই নয়, শনিবার ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে দক্ষিণবঙ্গের অন্য সীমান্ত পথ দিয়ে পাচারকারীরা গরু পাচারের চেষ্টা করেছে। সব মিলিয়ে বিএসএফ শনিবার ১০৪টি গরু আটক করেছে।
মুর্শিদাবাদের যে সব সীমান্ত গরু পাচারকারীরা পাচারের করিডোর হিসেবে ব্যবহার করে সুতির ওই সীমান্ত তার মধ্যে অন্যতম। গত বছর গরু পাচারের সময় দুই পাচারকারী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পাচারকারীদের ছোড়া গুলিতে এক পুলিশকর্মী গুলিবিদ্ধ হন।
তার পরে থেকে গত এক বছর সুতির পথ দিয়ে গরু পাচার বন্ধ করতে উঠেপড়ে লাগে পুলিশ ও বিএসএফ। বিএসএফ ও পুলিশের চেষ্টায় সুতির সীমান্তে আটক হয় প্রায় ৬ হাজার গরু ও মোষ। সুতি দিয়ে গরু পাচারে অনেকটাই লাগাম পড়ে। কিন্তু শনিবার বিএসএফের সঙ্গে পাচারকারীদের সংঘর্ষে ফের তাল কাটল সীমান্তে।
বিএসএফ জানিয়েছে, শীত পড়তেই মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়েই ফের গরু পাচারেক চেষ্টা চালাচ্ছে পাচারকারীরা। বিএসএফের কড়া নজরদারির কারণেই তাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না।
জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শীতের কুয়াশা পাচারকারীদের কাছে বড় আড়াল। সেই আড়ালের সুযোগ নিয়েই তারা এই সময় সক্রিয় হয়ে ওঠে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।