সেই স্নেহ মায়াই খুঁজে চলি

মাঝেমাঝেই চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া, এলাকার খুদে পড়ুয়াদের হাতে বই খাতা থেকে খেলার সরঞ্জাম তুলে দেওয়া, এমনকি নিয়মিত অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েও বিএসএফ সীমান্ত এলাকায় সমাজসেবা করে থাকে আমাদের এলাকাতেও।

Advertisement

নিখিল মণ্ডল

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৯ ০২:১৯
Share:

নিখিল মণ্ডল

আমার নাতিটা, কী একটা কার্টুন দেখে, টম-জেরি না কী যেন, বিএসএফের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটাও প্রায় তেমনই! ৬০ বছরের প্রায় ৫০টা বছর ওঁদের সঙ্গে ঘর করছি, বাপ-দাদার হাত ধরে যখন গিয়েছি, তখনও দেখেছি যাতায়াতের পথে ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে কখনও খুনসুটি করতে, কখনও আবার কুশল বিনিময় করতে। তবে আমার মাথায় প্রতিদিন যাতায়াতের পথে বিএসএফের হাত বুলিয়ে দেওয়াটা ছিল প্রায় ডিউটির মতো। সীমান্তে বিএসএফের বিরুদ্ধে অনেক সময় অনেক অভিযোগ উঠেছে, আবার বিএসএফ আমাদের বিরুদ্ধেও অনেক সময় অভিযোগ তুলেছে পাচারের। তা নিয়ে কখনও কখনও কথা কাটাকাটি হয়েছে। কিন্তু দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাদের কড়া প্রহরাতেই নিরাপদে মাছ ধরেছি আমরা। একটা সময় রাতের অন্ধকারে ভরসা বলতে ছিল ওরাই। কখনও জল তেষ্টা পেলে তাঁদের সেই ঠান্ডা জল, কখনও নৌকা আটকে গেলে ঠেলে জলে ফেলত তাঁরাই। রাতে নৌকা হারালে ভরসা ছিল তাঁদের সার্চ লাইট। ছোট থেকেই দেখেছি বিএসএফ গ্রামে গন্ডগোল হলেও মাঝে এসে দাঁড়িয়েছে। মিটিয়ে দিয়েছে ঝামেলা।

Advertisement

তা ছাড়াও মাঝেমাঝেই চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া, এলাকার খুদে পড়ুয়াদের হাতে বই খাতা থেকে খেলার সরঞ্জাম তুলে দেওয়া, এমনকি নিয়মিত অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েও বিএসএফ সীমান্ত এলাকায় সমাজসেবা করে থাকে আমাদের এলাকাতেও। অনেক মানুষ তাদের কাছে গিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েছেন। বাংলাদেশি ডাকাতদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সীমান্তে এক মাত্র পাশে দাঁড়াতেন তাঁরাই। এ সবই এখনও আছে, তবে, কেমন যেন ঢিলেঢালা হয়ে গেছে। গ্রামের মানুষ কিন্তু এখনও বিএসএফের কাছে স্নেহ-মায়াই খোঁজে!

Advertisement

শিরচরের বাসিন্দা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement