একটি ব্যাগের ভিতরে চারটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। কী ভাবে সেখানে বিস্ফোরক এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। —নিজস্ব চিত্র।
কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপারের অফিস থেকে একটু দূরেই উদ্ধার হল তাজা বোমা। শুক্রবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর পুলিশ সুপারের অফিসের ঢিলছোড়া দূরত্বে যে রেজিস্ট্রি অফিস রয়েছে, তার ঠিক পিছনেই উদ্ধার হয়েছে ৪টি তাজা বোমা। ইতিমধ্যে বোমাগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের মতো জায়গায় যেখানে নিরাপত্তা সবচেয়ে জোরদার, সেই জায়গা থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রেজিস্ট্রি অফিসের একটি দলিল লেখার ঘরের পিছনে পরিত্যক্ত একটি জায়গা রয়েছে। শুক্রবার সকালে অফিসে এসে এক কর্মী সেখানে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি অন্যদের খবর দেন। খবর যায় জেলা পুলিশ সুপার এবং কোতোয়ালি থানার পুলিশের কাছে।
পুলিশ ওই পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে তাজা বোমাগুলি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়দের একাংশ। কারণ, পুলিশ সুপারের অফিস ছাড়াও একাধিক প্রশাসনিক দফতরের জেলা অফিস রয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসনিক কর্তাদের যাতায়াত সেখানে। সেই স্থানে কেউ কী ভাবে বিস্ফোরক ফেলে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে দেবাশিস ঘোঘ নামে এক সরকারি কর্মী বলেন, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অফিস আছে। সেখানে কী ভাবে এতগুলি তাজা বোমা এল, তা নিঃসন্দেহে গুরুতর প্রশ্ন। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’’
পুলিশ জানাচ্ছে, তদন্ত চলছে। যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের খুঁজে বের করা হবে।