টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হার মানতে পারছেন না হরমনপ্রীত। ছবি: টুইটার।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যখন এসেছিলেন, চোখে রোদচশমা। কারণ কী? ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর জানালেন, চোখের জল ঢাকতে এই ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার লড়াই করেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছে হরমনপ্রীতের ভারত। আইসিসির আরও একটি প্রতিযোগিতার নক আউট পর্ব থেকে বিদায় নিতে হল ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলকে। হতাশায় ম্যাচের পর চোখের জল আটকাতে পারেননি হরমনপ্রীত। খেলা শেষ হওয়ার পর হাউ হাউ করে কাঁদতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
সেমিফাইনালে ৩৪ বলে ৫২ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেছেন হরমনপ্রীত। তবু তাঁর দল হেরেছে ৫ রানে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ দায়ী করছেন গুরুত্বপূর্ণ সময় অধিনায়কের রান আউট হওয়াকে। হরমনপ্রীত নিজেও মানতে পারছেন না। ভেঙে পড়েছেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চোখ ঢেকে এসেছিলেন রোদচশমায়। ম্যাচের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার সময়ও তাঁর মুখে ফুটে উঠেছে স্বপ্নভঙ্গের হতাশা।
হরমনপ্রীত বলেছেন, ‘‘তখন আমার চোখে জল ছিল। চাইনি আমার কান্না দেশবাসী দেখতে পাক। চোখের জল ঢেকে রাখার চেষ্টা করেছিলাম।’’ হার নিয়ে বলেছেন, ‘‘একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছি। বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে চারপাশে। একটু ধাতস্থ হওয়ার পর হয়তো বুঝতে পারব। জানি না কত দিনে এই হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারব। তবু মনে হয় প্রতিযোগিতায় আমরা যথেষ্ট ভাল ক্রিকেট খেলেছি।’’ এর পর কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেছেন, ‘‘আমার আর কিছু বলার নেই।’’
২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। সেই অবস্থায় জেমাইমা রডরিগেজের সঙ্গে ইনিংসের হাল ধরেছিলেন হরমনপ্রীত। তিনি যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন ততক্ষণ ছিল ভারতের দাপট। হরমনপ্রীত খুশি নন নিজের আউট নিয়েও। মেনে নিয়েছেন, সে সময় তাঁর আরও দায়িত্বশীল থাকা উচিত ছিল। তিনি বলেছেন, ‘‘যে ভাবে রান আউট হয়েছি সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমার আরও বেশি চেষ্টা করা উচিত ছিল।’’
দলের হার নিয়ে হরমনপ্রীত বলেছেন, ‘‘এই হারটা খুবই হতাশার। বিশেষ করে একটা সময় ভাল অবস্থায় থাকার পরেও এ ভাবে হেরে যাওয়া। অস্ট্রেলীয়দের দেখে মনে হচ্ছিল, কিছুটা হাল ছেড়ে দিয়েছে। আমি আউট হওয়ার পর নতুন উদ্যমে ঝাঁপায় ওরা। ম্যাচের মেজাজ বদলে দেয়। আমাদের আরও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করা উচিত ছিল। শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক থাকা দরকার ছিল। কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি।’’