প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটের আবহে বোমা বিস্ফোরণ মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। সোমবার দুপুরে আমচকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে ডোমকল পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মানিকনগর এলাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, যাঁর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেই মসজিদুল্লা শেখ শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত। ঘটনার পর থেকেই ওই বাড়ির সকলে পলাতক। মসজিদুল্লার সঙ্গে দলের যোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছে শাসকদল।
বিস্ফোরণের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডোমকল থানার পুলিশ। মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেছে। গোটা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ মানিকনগর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মসজিদুল্লার বাড়ি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। মুহূর্তের মধ্যেই ধোঁয়ায় ঢেকে যায় বাড়ির চত্বর। কিছু ক্ষণ পর প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, বিস্ফোরণের তীব্রতায় বাড়ির মেঝেতে ফাটল ধরেছে। এলাকাবাসীর দাবি, বিস্ফোরণে জখম হয়েছে মসজিদুল্লার বাড়ির এক মহিলা সদস্য। যদিও ঘটনার পর থেকে বাড়ির কোনও সদস্যেরই খোঁজ মিলছে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পেশায় ‘সাউন্ড সিস্টেম’-এর ব্যবসায়ী মসজিদুল্লা আড়ালে বোমা তৈরির কারখানা চালান। ভোটের আগে বাড়তি চাহিদা মেটাতেই বাইরে রেখে লোক আনা হয়েছিল বোমা বাঁধার জন্য। সেই সময়ে অসাবধানতাবশত কোনও ভাবে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রতিবেশী তাসাকুল শেখের দাবি, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরেই বোমার ব্যবসা করেন মসজিদুল্লা। পুলিশ, নেতারা সকলেই সব জানেন। উনি তৃণমূল করেন বলে কেউ কিছু বলতে পারে না।’’
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘গোটা বাংলা তৃণমূলের সমর্থক। তাই বলে সব অপরাধের দায় কি তৃণমূলকে নিতে হবে? কোনও রকম বেআইনি কার্যকলাপ হলে আইন অনুযায়ী পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিক।’’