Manipur Violence

চুরি যাওয়া অস্ত্রের ৭০ শতাংশই উদ্ধার হয়নি, হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে চাপে নিরাপত্তা বাহিনী

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঝামেলার সুযোগ নিয়ে গত কয়েক দিনে ৩,৫০০ অস্ত্র এবং প্রায় ৫ লক্ষ গুলি থানা এবং বাহিনীর থেকে চুরি হয়েছে। তার মধ্যে ৭০ শতাংশ উদ্ধার করতে পারেনি নিরাপত্তা বাহিনী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ইম্ফল শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩ ১৭:৪৫
Share:

মণিপুরে চলছে নিরাপত্তা বাহিনীর অস্ত্র উদ্ধার অভিযান। — ফাইল ছবি।

মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনী এবং প্রশাসনের ঘুম কেড়েছে চুরি যাওয়া সরকারি অস্ত্র। ৭ জুন থেকে সেই চুরি যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারের কাজে নেমেছে অসম রাইফেলস এবং সেনা। কিন্তু কাজে তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি। এ ক্ষেত্রে সব থেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বাহিনীর উপর পাল্টা চড়াও হচ্ছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সংস্থার আশঙ্কা, চুরি করা অস্ত্র বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর মধ্যে বিক্রি বা বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তেমন হলে সেই অস্ত্র উদ্ধার করা এক প্রকার অসম্ভব।

Advertisement

গত ৩ মে থেকে দুই সম্প্রদায়ের জাতিগত হিংসার জেরে উত্তপ্ত মণিপুর। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে বেগ পেতে হচ্ছে নিরাপত্তবাহিনীকে। নিরাপত্তাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, পরিস্থিতি মোটামুটি একই রকম রয়েছে। অবনতি হয়নি। কিন্তু অস্ত্র উদ্ধারে গিয়ে বিপাকে পড়ছে বাহিনী। রুখে দাঁড়াচ্ছেন স্থানীয় মহিলারাও। রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঝামেলার সুযোগ নিয়ে গত কয়েক দিনে ৩,৫০০ অস্ত্র এবং প্রায় ৫ লক্ষ গোলাগুলি থানা এবং বাহিনীর থেকে চুরি হয়েছে। তার মধ্যে ৭০ শতাংশই উদ্ধার করতে পারেনি নিরাপত্তা বাহিনী। সেগুলি উদ্ধারের সম্ভাবনাও কম বলেই মনে করছে তারা, যা চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের।

মণিপুর সরকারের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘লুট করা অস্ত্র উদ্ধারের দু’টি উপায়। হয় সাধারণ মানুষকে লুট করা অস্ত্র ফেরাতে হবে, নয়তো নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিযানে নামতে হবে। রোজই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে, তবে তা কম সংখ্যক। গত সপ্তাহ পর্যন্ত ১,১০০ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের আবেদনের পর এই অস্ত্র উদ্ধার কিছুটা বেড়েছিল।’’ কেন কঠিন হচ্ছে এই অস্ত্র উদ্ধার? অসম রাইফেলস, সিআরপিএফ জানিয়েছে, সাধারণ মানুষ, এমনকি মহিলারাই অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে মূল বাধা হচ্ছেন। কখনও ৫০০ থেকে কখনও ২০০০ জন তাঁদের পথ আটকে রাখছেন।

Advertisement

সম্প্রতি ইম্ফলে অভিযান নেমে অস্ত্র সমেত ১২ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সদস্যকে আটক করা হয়। স্থানীয়রা ঘিরে ধরে বাহিনীকে। শেষ পর্যন্ত আটকদের স্থানীয় নেতার হাতে তুলে দেয় বাহিনী। অস্ত্র উদ্ধার করে ফেরত আসে। ১০ দিন আগে ইম্ফলে নিরাপত্তাবাহিনীর উপর হামলা করে জনতা। তাতে দু’জন সাধারণ মানুষ আহত হন। এক রাজনৈতিক নেতার বাড়িকে নিশানা করেছিল উন্মত্ত জনতা। তখনই বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এক সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযানে নেমে এক এক জায়গায় ১,৫০০ থেকে ২০০০ জন জনতার বাধার মুখে পড়ছে বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কাও থাকে। তাই বাহিনীকে সতর্ক হয়ে পা ফেলতে হচ্ছে। ফলে বাধা পাচ্ছে অস্ত্র উদ্ধার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement