Humayun Kabir

হুমায়ুন নিয়ে চুপ ব্লকের নেতারা 

ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রে দলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থীরা অবশ্য একটিও গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে পারেনি। কিন্তু এমন কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে যেখানে নির্দলের সমর্থন ছাড়া পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করা সম্ভব নয়।

Advertisement

কৌশিক সাহা

ভরতপুর শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩ ০৯:৫০
Share:

হুমায়ুন কবীর।

পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই শাসক দলের কোন্দল শুরু হয়েছিল। ফল প্রকাশের পরেও দলীয় কোন্দল শেষ হয়নি। ঘটনাটি ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের।

Advertisement

এই কেন্দ্রের তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে দলের দুই ব্লক সভাপতি ও তাঁদের অনুগামীদের কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছিল। দলের নেতৃত্বদের সঙ্গে পঞ্চায়েত টিকিট নিয়েও বিরোধ দেখা যায় বিধায়কের। পঞ্চায়েতে দলের বিরুদ্ধে নির্দলদের টিকিট দেয় হুমায়ুন বলে অভিযোগ ওঠে। সেটা নিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কোপের মুখে পড়তে হয় হুমায়ুনকে। জানা গিয়েছে, হুমায়ুনকে শোকজ করে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব।

যদিও হুমায়ুন বলেন, “আমাকে শোকজ করা হয়ে হয়েছে। সাত দিন সময় দিয়েছে। তার মধ্যেই জবাব দেব।” শোকজ নিয়ে দলের ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য মুখ খুলতে চায়নি।সাত মাস পরেই লোকসভা ভোট। তার আগে শাসক দলের অন্দরে যে ভাবে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে তাতে লোকসভা ভোটে তৃণমূলের অনুকূলে ফলাফল ভাল হবে কিনা সেটা নিয়েই চর্চা
শুরু হয়েছে।

Advertisement

ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রে দলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থীরা অবশ্য একটিও গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে পারেনি। কিন্তু এমন কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে যেখানে নির্দলের সমর্থন ছাড়া পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করা সম্ভব নয়। হুমায়ুন পঞ্চায়েত ভোটে দাবি করেছিলেন যে নির্দলদের ফল ভাল হবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় বিধায়ক বিরোধী তৃণমূল নেতৃত্বদের কথায়, “পঞ্চায়েত ভোটের আগে অনেক কথা বলেছিলেন বিধায়ক। তার কোনও কথাই কার্যকর হয়নি। লোকসভা ভোট অনেক দেরি। বিরোধীতার পরেও পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল যদি ভাল হয়, তবে লোকসভা ভোটে ফল খারাপ হবে না।”

ভরতপুর ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আমাদের বিধায়কের গোটা বিষয়টি জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব দেখছেন। এখানে আমার কিছু বলার নেই।” ওই এলাকার জেলা পরিষদের নির্দল প্রার্থী তথা প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মহম্মদ আজহার উদ্দিন বলেন, “হুমায়ুন বাপের বেটার মতো লড়াই করছে। পঞ্চায়েত ভোটে যে ভাবে বোমাবাজি হয়েছে, তারপর গণনার সময় প্রশাসন ও পুলিশের যে ভূমিকা ছিল তাতে তৃণমূলের ফল ভাল হয়নি। লোকসভা ভোটে এলাকার মানুষ যোগ্য
জবাব দেবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement