বেলডাঙার চেয়ারপার্সনের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। — নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে দেখে চেয়ার ছেড়ে উঠে এলেন। স্বাগত ও অভিবাদন জানানোর পাশাপাশি বেশ কিছুক্ষণ কুশল বিনিময়ও চলল দু’জনের মধ্যে। যে দৃশ্য জন্ম দিয়েছে এক নতুন জল্পনার। যে জল্পনার অন্যতম চরিত্র মুর্শিদাবাদের তৃণমূল পরিচালিত বেলডাঙা পুরসভার চেয়ারপার্সন অনুরাধা হাজরা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’পক্ষই একে নিছক সৌজন্য বিনিময় বলে দাবি করেছেন। যদিও বিজেপি নেতার সঙ্গে তৃণমূলের নেত্রীর এই সাক্ষাতে জল্পনা থামছে না।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার, কার্তিক লড়াই উপলক্ষে বেলডাঙায় গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ। বেলডাঙার রাস্তা দিয়ে তিনি যখন হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন সেখানেই উপস্থিত ছিলেন বেলডাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান অনুরাধাও। তখনই দু’জনের মোলাকাত। যার জেরে কার্তিক লড়াইয়ের দিন প্রতিপক্ষ দুই রাজনৈতিক দলের নেতার বিরল রাজনৈতিক সৌজন্য দেখল বেলডাঙা। বেলডাঙা পুরসভার তরফ থেকে নেতাজি পার্কে একটি সহায়তা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুরাধা। আবার দিলীপও সেখান দিয়েই হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখনই দু’জনের মধ্যে আলাপচারিতা হয়।
এ প্রসঙ্গে অনুরাধা বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষ বেলডাঙায় এসেছেন। আমি এখানকার পুরসভার প্রধান। তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলাম। উনি যে হেতু এখানে এসেছেন, ওঁকে বেলডাঙার কার্তিক পুজো উপভোগ করতে বললাম।” রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ প্রসঙ্গে অনুরাধা বলেছেন, “উনি আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ঠিকই। কিন্তু আজ তো উৎসবের দিন। উৎসবের দিন যিনিই বেলডাঙায় আসবেন, তিনিই আমার অতিথি। তাই আমি চাইব, দিলীপ কার্তিক পুজো উপভোগ করুন।” এ নিয়ে দিলীপও ইতিবাচক ভঙ্গিতে মন্তব্য করেন, ‘‘তৃণমূলের হালফিলের পচা রাজনীতির মধ্যে এক বিরল সৌজন্যের নজির। আমিও ওঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’’