বিজেপির পথ অবরোধ। সোমবার তেহট্টে। নিজস্ব চিত্র
বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের উপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে পথ অবরোধ, অবস্থান-বিক্ষোভ হল। স্বাভাবিক ভাবেই বেশি প্রভাব পড়েছে বিজেপি প্রভাবিত দক্ষিণে। তৃণমূলের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এ ধরনের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রচারে আসতে চাইছে বিজেপি।
সোমবার দুপুর প্রায় ২টো নাগাদ আঁইশতলায় রানাঘাট-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। ঘন্টাখানেক অবরোধ চলে। হাজির ছিলেন নদিয়া দক্ষিণ বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়। এই অবরোধের জেরে রাজ্য সড়কে যানজট হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
উত্তর নদিয়াতেও তেহট্ট হাউলিয়া পার্ক মোড়ে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। তা চলে প্রায় এক ঘণ্টা। তীব্র যানজট তৈরি হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস। করিমপুরেও বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। পাট্টাবুকা মোড়ে সন্ধ্যা ৬টা থেকে মিনিট পনেরো করিমপুর-বহরমপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ হয়।
ও দিকে, হরিণঘাটা থানার সামনেও দুপুর ১টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান-বিক্ষোভ চলে। বিকাল ৫টা নাগাদ কল্যাণীর থানার সামনে প্রায় ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ হয়। বিকালে চাকদহ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায়ক বিজেপি। ছিলেন চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, রাজ্য যুব মোর্চার নেতা ভাস্কর ঘোষ প্রমুখ।
বিজেপির দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থসারথীর দাবি, “রাজ্য জুড়ে রামনবমীর মিছিলে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী আক্রমণ চালিয়েছে। গত রবিবার রিষড়ায় দিলীপ ঘোষকে আক্রান্ত হতে হয়েছে। এ রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।"
তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, “শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রচারে আসতেই বিজেপি এ ধরনের কর্মসূচি নিচ্ছে।”