Kalyani AIIMS

এমসে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব সাংসদ জগন্নাথ

বঙ্কিম ঘোষের বৌমা অনুসূয়া ঘোষ এবং নিলাদ্রী শেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানা এমসে ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে কাজ পেয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কল্যাণী শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ ০৯:৪৩
Share:

কল্যাণীর ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস’ বা এমসে বরাতপ্রাপ্ত একটি ঠিকাদার সংস্থায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন রানাঘাট লোকসভার বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জগন্নাথ সরকার। বুধবার এমসের প্রধান ফটকের সামনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমস কর্তৃপক্ষ ও ওই ঠিকাদার সংস্থার রাজ্য কন্ট্রোলার (নিয়ন্ত্রক) বিজয় ঝা-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, কল্যাণী এমসে বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থায় কাজ পাওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত বছর মে মাসে কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার এক যুবক। সেখানে অনেকের সঙ্গে নাম উঠেছিল জগন্নাথ সরকারেরও। প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় তখন মামলা রুজু হয়। জগন্নাথের পাশাপাশি বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, বাঁকুড়ার বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা, তাঁর কন্যা মৈত্রী দানা, বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য দীপা বিশ্বাস ও এমসের কার্যনির্বাহী অধিকর্তা রামজি সিংহের নাম উঠেছিল। বঙ্কিম ঘোষের বৌমা অনুসূয়া ঘোষ এবং নিলাদ্রী শেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানা এমসে ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে কাজ পেয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল, দুই বিধায়ক নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে এঁদের কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। ওই মামলার তদন্তভার সিআইডি নেয়।

বুধবার জগন্নাথ অভিযোগ করেছেন, বরাতপ্রাপ্ত ওই সংস্থায় পরীক্ষা ছাড়া চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের নিয়োগ করা হয়। দিনমজুর হিসাবে তাঁদের একটা সাম্মানিক দেওয়া হয়। তাঁর কথায়, ‘‘নিয়োগে স্বজনপোষণ করছেন ঠিকাদার সংস্থার রাজ্য নিয়ন্ত্রক বিজয় ঝা। স্থানীদের না নিয়ে বাইরে থেকে নিজেদের আত্মীয়স্বজন নিয়ে এসে কাজে ঢোকানো হচ্ছে। বেশ কয়েক জনকে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নিয়োগপত্রও দেওয়া হচ্ছে।’’ জগন্নাথের কথায়, "এমসে একটি চক্র গড়ে উঠেছে। নিয়োগগুলো খতিয়ে দেখা উচিৎ।"

Advertisement

সাংসদ যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন সেই বিজয় ঝা’র পাল্টা দাবি, জগন্নাথের সুপারিশ করা কর্মীদের নেওয়া হয়নি বলেই তিনি এই সব করছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এ বার শূন্যপদ ছিল ১৪-১৫টি। কম্পিউটারের ভুলে সেটা হয়ে যায় ৩২। কম্পিউটার অপারেটর তাঁদের সবাইকে স্লিপ দিয়ে জয়েন করতে বলেন। কিন্তু বাস্তবে ৩২টি শূন্যপদ না থাকায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, শূন্যপদে কর্মী নিয়ে বাকিদের অপেক্ষার তালিকায় রাখা হবে। এঁদের মধ্যে জগন্নাথ সরকারের চার জন প্রার্থী রয়েছেন। জগন্নাথ সরকার সেটা মানছেন না।’’

বিজয়ের অভিযোগ, ‘‘জগন্নাথ সরকার বুধবার সকালে ফোনে হুমকি দেন যে, তাঁর লোকজন না নিলে মামলা করবেন এবং আমার লোকজন টাকা তোলে বলে অভিযোগ করবেন। বুধবার সকালে এমসে এসে রেজিস্ট্রার খাতা ছিনিয়ে নিয়ে গণ্ডগোল বাঁধিয়েছেন জগন্নাথ।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement