— প্রতীকী চিত্র।
এক বধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন বিজেপি নেতা। মুর্শিদাবাদের কান্দির এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। সোমবার অভিযুক্তকে কান্দি মহকুমা আদালতে হাজির করিয়েছিল কান্দি থানার পুলিশ। বিচারক বিজেপির যুব মোর্চার ওই নেতাকে তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও ধৃতের পরিবার দাবি করেছে, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি।
পুলিশ সূত্রের খবর, নির্যাতিতা কান্দি শহর এলাকার বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্বামীকে মারধর, গালাগালি করেছিলেন ওই বিজেপি নেতা। প্রতিবাদ করায় তাঁর শ্লীলতাহানি করেন ওই ব্যক্তি। থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন নির্যাতিতা। তার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
ওই ঘটনা প্রসঙ্গে কান্দি শহরের তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মহিলাদের অসম্মান করাই বিজেপির সংস্কৃতি। আরজি কর হাসপাতালে এক চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। সেই ঘটনায় যুক্ত দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে আমরা পথে নেমেছি। তখনই আমাদের শহরে বিজেপি নেতা এই রকমের নোংরা কাজ করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন।’’ যদিও কান্দি শহর বিজেপির সভাপতি রাজীব দাসের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁদের এক নেতাকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ও (ধৃত) আমাদের দলের এক জন সক্রিয় কর্মী। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছি। যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’ রাজীবের সংযোজন, ‘‘যে মহিলা আমাদের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্বামী মাতাল। মদ খেয়ে আজেবাজে কথা বলছিলেন। সেই সময় ওই নেতা তার প্রতিবাদ করেছেন। তার পরেই ওকে একটি নোংরা ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
কান্দির বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বিচারক তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বটে। তবে তাঁদের স্থির বিশ্বাস, আইনি ভাবে লড়ে মিথ্যা অভিযোগ থেকে ধৃত নেতাকে মুক্ত করে আনবেন। অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তরে। তদন্ত জারি রয়েছে।