arrest

শুভেন্দুর সভার জন্য চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মার! ধৃত বিজেপি নেতা, অভিযোগ ওড়াল তাঁর দল

নদিয়ার ফুলিয়ায় একটি সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর ওই সভার জন্য বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা হিসাবে দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। এতে গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপির এক নেতা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৫১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বিজেপির সভার জন্য ভয় দেখিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠল নদিয়ায়। চাঁদার জন্য এক ব্যবসায়ীকে মারধরেরও অভিযোগে বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, ধৃত ব্যক্তি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভার জন্য জোরজবরদস্তি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা তুলছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।

Advertisement

বৃহস্পতিবার নদিয়ার ফুলিয়ায় একটি সভা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। তাঁর ওই সভার জন্যই এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা হিসেবে ‘দাবি’ করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি, টাকা না দেওয়ায় সুজন জোয়ারদার নামে এক ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধরেরও অভিযোগ ওঠে প্রদীপ সরকার নামে বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে। ওই ব্যবসায়ী শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। এর পর গ্রেফতার হন প্রদীপ।

শান্তিপুর ব্লকের বেলঘরিয়া-১ পঞ্চায়েত এলাকার ব্যবসায়ী সুজন বলেন, ‘‘বাঁশতলাপাড়ায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়ির সামনে দিয়ে মোটরবাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় মণ্ডল সভাপতি এবং স্থানীয় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যরা আমার পথ আটকায়। তাঁরা জানান, শুভেন্দু অধিকারীর সভা আছে। তার জন্য টাকা দিতে হবে।’’ সুজন আরও বলেন, ‘‘আমি পেশায় ব্যবসায়ী। বিভিন্ন সামাজিক কাজে মানুষের পাশে দাঁড়াই। কিন্তু রাজনৈতিক দলের তহবিলের জন্য টাকা দিতে রাজি হইনি। এ জন্য আমায় মারধর করা হয়েছে। ইট, বাঁশ এবং লাঠি দিয়ে আমায় আক্রমণ করা হয়।’’ প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। সুজনের এক প্রতিবেশী অরিজিৎ পালের দাবি, তাঁর কাছেও একই কারণে টাকা চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছেও টাকা চাওয়া হয়েছিল। তবে ভয়ে থানায় জানাতে পারিনি। তবে আমার মনে হয়, রাজনৈতিক নেতৃত্বের স্বচ্ছ এবং নমনীয় হওয়া প্রয়োজন।’’

Advertisement

যদিও ওই ব্যবসায়ীর তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রদীপ সরকার। গ্রেফতারির আগে তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘আমি রাজনীতি করি। ভাই ব্যবসা করে। আমি দেখি, রাস্তায় দু’জনের মধ্যে বচসা হচ্ছে। ঠেকাতে গিয়েছিলাম। পরে শুনলাম থানায় মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। কাউকে মারধর করা হয়নি। দু’জনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছিল।’’

এই অভিযোগ এবং গ্রেফতারির ঘটনা নিয়ে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘তোলাবাজির সংস্কৃতি বিজেপিতে নেই। ওটা তৃণমূলের সংস্কৃতি। বিজেপিকে মিথ্যা অভিযোগ ফাঁসাতে দলের ক্যাডারদের দিয়ে পরিকল্পিত চক্রান্ত করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।’’ পাল্টা তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যে এই দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য রাজনৈতিক ভাবে আমদানি করতে চায় বিজেপি। তবে ওদের মনে রাখতে হবে, এটা গুজরাত বা উত্তরপ্রদেশ নয়। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে বাংলা। এখানে ও সব চলবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement