নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। শনিবার বড় চাঁদঘরে। নিজস্ব চিত্র
কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর এলাকায় এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ধৃত ভাসু শেখকে শনিবার কৃষ্ণনগর আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক তাকে আট দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এই ঘটনায় আর এক অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আফতার হোসেনের ছেলে সুজাই শেখকে কেন এখনও গ্রেফতার হল না, সেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
এ দিন দুপুরে ওই তরুণীর বাড়ি যান বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল-সহ জেলা ও এলাকার বেশ কয়েকজন বিজেপি নেত্রী। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের নেত্রীরা কৃষ্ণনগর আদালতে নির্যাতিতা তরুণীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে ওই তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
অন্য দিকে, অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে সিপিএমের পক্ষ থেকে পলাশিতে এক মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলে হাঁটেন রানাঘাট বিধানসভার বিধায়ক রমা বিশ্বাস-সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। মিছিলের শেষে সিপিএমের প্রতিনিধিরা পলাশি পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন এবং এই ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তি-সহ বিভিন্ন দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেন।
পুলিশ বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। পুলিশের এক সূত্রের দাবি, অভিযোগকারী যা বলেছেন, তার মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে। পুলিশ তার জট ছাড়িয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করছে। শুক্রবার তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছিল, বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের এরসাদ মণ্ডল প্রথমে দাবি করেছিলেন, ধর্ষণের ঘটনাই ঘটেনি। তবে এ দিন তিনি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।বিজেপির অবশ্য অভিযোগ, ঘটনাটি চেপে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। দলের নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ‘‘একই সংলাপ কত দিন চলবে? বস্তাপচা সংলাপ! একজন মেয়ের সবচেয়ে বড় সম্পদ তার সম্মান। তৃণমূল মিথ্যেবাদীর দল। একটা ব্লকের মধ্যে ছেলেটি লুকিয়ে আছে, আর পুলিশ ধরতে পারে না? পুলিশ ধরছে না, কারণ ও তৃণমূলের নেতার ছেলে।’’