ফাইল চিত্র।
তাঁদের ‘মধুর সম্পর্কের’ কথা দলের কারও অজানা নয়। কিন্তু তাঁদের এক জনকে সরিয়ে অন্য জনকে জেলা সভাপতি পদে বসানোয় কোন্দল আরও বাড়ে। তাঁরা হলেন দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির বর্তমান সভাপতি শাখারভ সরকার এবং মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলা বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ।
তাঁদের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই তো ছিলই। ব্লক ও শহরে দলের মণ্ডল সভাপতিদের নিয়োগকে কেন্দ্র করে গত এপ্রিলে সেই লড়াই প্রকাশ্যে চলে আসে। তার কিছু দিন পরে জেলা সফরে এসেছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রত্যাশিত ভাবে সেদিনের সুকান্ত মজুমদারের কর্মসূচিতে অনুপস্থিত ছিলেন গৌরীশঙ্কর ঘোষ।
ফের আজ বৃহস্পতিবার বহরমপুরে দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কাল শুক্রবারও তাঁর জেলায় কর্মসূচি রয়েছে। জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের নেতৃত্বে সংগঠিত দলের সেই কর্মসূচিতে গৌরীশঙ্কর যোগ দেবেন, না অনুপস্থিত থাকবেন তা নিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। দলের এক নেতা বলছেন, ‘‘জেলার দুটি গোষ্ঠীর কথা কারও অজানা নয়। মাস চারেক আগে শাখারভের নেতৃত্ব হওয়া প্রথম বড় কর্মসূচিতে গৌরীশঙ্কর ঘোষ ও তাঁর অনুগামীরা অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে এবারে যে তাঁরা উপস্থিত থাকবেন তার নিশ্চয়তা কোথায়!’’
তবে শাখারভ বলেন, ‘‘বিজেপিতে কোনও গোষ্ঠী নেই। ফলে জেলায় গোষ্ঠী কোন্দলের প্রশ্নই নেই। মুর্শিদাবাদের বিধায়ককে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে ওই কর্মসূচি সফল করা হবে।’’
মুর্শিদাবাদের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলছেন, ‘‘আগের কর্মসূচিতে থাকতে পারিনি। দলের জেলা সভাপতি কর্মসূচির কথা আমাকে জানিয়েছেন। আশা করছি সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে পারব।’’
জেলা বিজেপি সূত্রের খবর, দু’দিনের দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে আজ বৃহস্পতিবার বহরমপুরে আসছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রথম দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বহরমপুরে যে মিছিল ও কর্মিসভা রয়েছে তাতে সুকান্ত মজুদার যোগ দেবেন। সেদিন দশমুণ্ড কালীবাড়ি মাঠ থেকে মিছিল বেরোবে। পরে টেক্সটাইল মোড়ে তাঁদের সভা রয়েছে। পরের দিন একটি মন্দিরে পুজো দেবেন ও দলের বৈঠক করবেন।