—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ‘‘দ্য ভাগীরথী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসার ইউনিয়ন লিমিটেডে’র। কখনও দুধ নেওয়ার পরিমাণ বেঁধে দেওয়া, কখনও দুধ ফেলে দেওয়া তো, কখনও দুধের দাম কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন গোপালকেরা। এ বারে কম দুধ দেওয়ার অভিযোগে একাধিক দুগ্ধ সমবায় সমিতিকে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দ্য ভাগীরথী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসার ইউনিয়ন লিমিটেডে। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের একাধিক দুগ্ধ সমবায় সমিতিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু সমবায় সমিতি, যাদের দুধ সংগ্রহ নিতান্ত কম (৫০ লিটারের নীচে) এবং সমিতিগুলি ধারাবাহিক উন্নয়নে ব্যর্থ, সেই সকল দুগ্ধ উৎপাদক সমিতি থেকে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দুধ নেওয়া বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে ভাগীরথী দুগ্ধ প্রকল্পের কম্পিউটার সহ যাবতীয় যে সব যন্ত্রপাতি রয়েছে তা সাত দিনের মধ্যে ভাগীরথীতে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে গোপালকদের মধ্যে।
‘দ্য ভাগীরথী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসার ইউনিয়ন লিমিটেডে’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিজয় অধিকারী ফোন ধরেননি। উত্তর দেননি এসএমসেরও। বহরমপুরের সাহাজাদপুর দুগ্ধ সমবায় সমিতির জাজাউল হক বলেন, ‘‘এক সময় আমরা দৈনিক চারশো লিটার করে দুধ সরবরাহ করতাম। কিন্তু দুগ্ধ প্রকল্পের কর্মকর্তারা বার বার কোটা বেঁধে দেন। যার জেরে দুধ দেওয়ার পরিমাণ কমে যায়।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এই মূহূর্তে আমরা দৈনিক ৮০ লিটার করে দুধ দিতে পারব। অথচ আমাদের দৈনিক ৪৭ লিটার দুধ দেওয়ার কোটা বেঁধে দিয়েছে। আবার এখন ৫০ লিটারের কম দুধ সরবরাহ বলে দুগ্ধ সমবায় সমিতি বন্ধ করার নোটিস দিয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে দুধ দিতে নিষেধ করা হয়েছে। আমরা তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’ নবগ্রামের কানফলা দুগ্ধ সমবায় সমিতিকেও দুধ ১ জানুয়ারি থেকে দুধ দিতে নিষেধ করা হয়েছে।
গোপালকদের কংগ্রেসের সংগঠন ‘মুর্শিদাবাদ জেলা দুগ্ধ উৎপাদক সঙ্ঘের’ সম্পাদক পীযূষ ঘোষ বলেন, ‘‘দুগ্ধ প্রকল্পকে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। যার জন্য দুধ নেওয়ার পরিমাণ কমানো থেকে শুরু করে দুধ ফেলে দেওয়া, দুধের দাম কমানোর পরে এবারে সমবায় সমিতি বন্ধ করে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আমরা খবর পেয়েছি দুধ নেবে না বলে ৫০ টির উপরে দুগ্ধ সমবায়কে চিঠি দিয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘দুগ্ধ সমবায় সমিতিগুলিকে ভাগীরথী দুগ্ধ প্রকল্প পরিকল্পিতভাবে রুগ্ণ বানিয়েছে। আবার সেই রুগ্ণ হওয়ার অভিযোগ তুলে দুধ বন্ধ করার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।’’