Berhampore Post Office

ডাকঘর দিন দিল ডিসেম্বরে

আধার কার্ড সংশোধনের জন্য কুপন দেওয়া হবে জানতে পেরে সপ্তাহ খানেক আগে বহরমপুর মুখ্য ডাকঘরে নোটিস দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২০ ০২:২৬
Share:

জেলা ডাকঘরের সামনে উপচে পড়া ভিড়। নিজস্ব চিত্র

আধার কার্ড সংশোধনের দিন পেতে বুধবার থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন নবগ্রামের পলসা গ্রামের সাইদুল ইসলাম মির্জা। শেষ বিকেলে কুপন পেলেন তিনি, তবে ১১ মাস পরে, এ বছরের শেষে ৮ ডিসেম্বর। সাইদুল বলছেন, ‘‘স্ত্রী ও মেয়ের আধারকার্ডে নামের বানান সংশোধন করতে হবে। কুপন হাতে পেয়ে দেখছি ১১ মাস পরে আমাকে আসতে বলা হয়েছে, কী বলব বলুন তো!’’

Advertisement

আধারকার্ডে নাম সংশোধনের দিন পেতে মঙ্গলবার থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন হরিহরপাড়ার চোঁয়ার হোসনেয়ারা বিবি। বৃহস্পতিবার বিকেলে বহরমপুরের মুখ্য ডাকঘর থেকে তাঁকে যে কুপন দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর জন্য সংশোধনের দিন বরাদ্দ হয়েছে, দশ মাস পরে, ২৭ নভেম্বর। হোসনেয়ারা বলছেন, ‘‘ছেলের আর আমার আধারকার্ডের নাম সংশোধন করতে হবে। সে জন্য ১০ মাস পরে আসতে বলা হয়ে‌ছে।’’ সাইদুল বা হোসনেয়ারার মতো অনেকেই সংশোধনের দিন পেয়েছেন কেউ দশ কেউ বা এগারো মাস পরে।

এ দিন যে আধার কার্ড সংশোধনের জন্য কুপন দেওয়া হবে জানতে পেরে সপ্তাহ খানেক আগে বহরমপুর মুখ্য ডাকঘরে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো গত সোমবার থেকে ডাকঘরের সামনে লাইন দাঁড়িয়েছিলেন বহু মানুষ। কুপন দেওয়ার সময় যত এগিয়েছে, আঁকাবাঁকা লাইন সাপের মতো ততই পাক খেয়েছে শহরের রাজপথে। এ দিন সকালে মুখ্য ডাকঘর থেকে এক দিকে জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর পর্যন্ত এবং অন্য দিকে ডাকঘর থেকে ঋত্বিক সদন পর্যন্ত দু’টি লাইন হয়েছিল। শিশু থেকে বৃদ্ধ, হাজার কয়েক মানুষ ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন সেই লাইনে। সকালে কুপন দেওয়ার আগে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে কয়েকজনের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। তাতে বহরমপুরের হাজিপাড়ার জিনারুন বিবি আহত হন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘স্বামী, দুই ছেলে ও আমার আধারকার্ডের সংশোধনের জন্য সোমবার থেকে লাইন দিয়েছিলাম। এ দিন একজন জোর করে লাইনে ঢুকতে যান। নিষেধ করতেই ধাক্কা মেরে ফেলে দেন।’’

Advertisement

২০ জানুয়ারি থেকে আধার সংশোধনের দিনের জন্য কুপন দেওয়া শুরু হয়েছে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতি দিন ৩৫ জন করে বাসিন্দাকে আধার কার্ড সংশোধনের জন্য কুপন দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঁচ হাজারের উপরে কুপন দেওয়া হয়েছে।

অন্য দিকে ডাকঘরের সামনে লম্বা লাইন থাকায় এবং সামনের দরজা বন্ধ করে কুপন দেওয়া ডাকঘরে দৈনন্দিনের কাজে আসা লোকজন সমস্যায় পড়েন। ডাকঘরের সামনে ভিড় দেখে কেউ কেউ শহরের অন্য ডাকঘরে দিকে ছোটেন। তবে ডাকঘর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপাররে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

বা পুরপ্রধানের শংসাপত্র নিয়ে এলেই আমি শংসাপত্র দিচ্ছি। তবে সেটা রেজিস্টার মিলিয়ে নয়।’’ রেজিস্টার ছাড়া কিভাবে দিচ্ছেন? তার কথায়, ‘‘আমি জানি এভাবে শংসাপত্র দেওয়া যায়, ফলে দিচ্ছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement