আজ নববর্ষ। তারই প্রস্তুতি শহরে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
আজ, পয়লা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ। এটাই বছরের প্রথম দিন। অতীতে পয়লা বৈশাখ ছিল শুধু হালখাতার দিন। ব্যবসায়ীরা গণেশ ও লক্ষ্মীর পুজো করবেন। তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার নানা শহর, গ্রামে। মিষ্টি মুখ করানোর প্যাকেটের বরাদ্দওএ দেওয়া হয়েছে।
বহরমপুরের বিষ্ণুপুর কালীবাড়িতে নববর্ষের জন্য বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা থাকছে। সেখানকার সেবাইত তোতন পাণ্ডে জানান, “প্রত্যেকে যাতে ভাল ভাবে পুজো দিতে পারেন তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।” বহরমপুরের জয় কালী বাড়ি মন্দিরে থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। জয় কালীমাতা ট্রাস্ট ম্যানেজমেন্টের সম্পাদক হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নববর্ষের জন্য পুজোর সব ধরনের পুজো প্রস্তুতি করা হয়েছে। মন্দির পরিষ্কার করা হয়েছে। ভক্তদের জন্য পানীয় জল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।” তিনি বলেন, “আমাদের মন্দিরের ভগ্নাংশের মেরামত হচ্ছে। সামনে নতুন মন্দির তৈরি হয়েছে। ফলে যারা পুজো দিতে আসবেন তাঁদের কোনও সমস্যা হবে না।” বেলডাঙার বুড়িমাতা মন্দিরেও পুজো দিতে মানুষের ভিড় লক্ষ করা যায়।
নববর্ষের দিন বহরমপুরে মঙ্গল শোভাযাত্রা পথ পরিক্রমা করবে শহরের বিভিন্ন পথ। বহরমপুরের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, শনিবার নবর্বষের দিন গঙ্গানদীর অনেকগুলো ঘাটে স্নানের জন্য ভিড় করেন মানুষ। অনেক বাড়িতে এদিন তুলসি গাছ ও শিব ঠাকুরের মাথায় কলস বাঁধার রেওয়াজ রয়েছে। কলসে জল দেওয়া হয়। সেই জল খুব ধীরে তুলসি গাছ ও শিব ঠাকুরের মাথায় পড়ে। সারা বৈশাখ মাস চলে এই জল প্রদান। অনেক স্থানে এদি থেকে নগর কীর্তনও শুরু হয়।
বেলডাঙার মানিকনগর গ্রামের আদম গাদম মন্দিরে নববর্ষে বিশেষ পুজো হয়। বসে বড় মেলা। সেখানে তালপাতার পাখা, মাটির পুতুল, টাটকা সন্দেশ পাওয়া যায়। এই মেলা চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এই পুজো ও মেলা উপলক্ষে দুটো যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়েছে। গ্রামীণ শিল্পীরা সেখানে অভিনয় করবেন। সেখানে চলছে লোকসঙ্গীতের অঙ্গ বোলান গান। এর সঙ্গে নবর্ষের বিশেষ খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
নববর্ষে দোকানগুলোও ছাড় দিচ্ছে। হায়দরাবাদি পোলাও, ইলিশ পাতুরি, পনির কোর্মা, সবুজ আলুর দম, ইলিশ ভাপা, চিতল মাছের মুইঠা, কাতলার কালিয়া, চিংড়ির মালাইকারি, ডাব চিংড়ি এ সবের ব্যবস্থা থাকছে।