সুদূর ইতালি থেকে তেপান্তর পেরিয়ে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় পৌঁছলেন দম্পতি। —নিজস্ব চিত্র।
সম্পূর্ণ পৃথক ভাষা। নেই কোনও সংস্কৃতিগত মিল। সুদূর ইতালি থেকে তেপান্তর পেরিয়ে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় পৌঁছলেন দম্পতি। ছুটে গেলেন ছোট্ট মেয়েটির কাছে, যাকে এত দিন ভার্চুয়াল মাধ্যমেই দেখেছেন। মারিয়ানার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে ছোট্ট মেয়েটিও ‘মা’ বলে ডেকে উঠল! তা শুনেই কেঁদে ফেললেন ইতালির মারিয়ানা সিমোনা।
মেয়েটির যখন বয়স মাত্র ১৪ দিন, তখন তাকে হোমে ফেলে রেখে গিয়েছিলেন তার বাবা-মা। সে বড়ই হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙার ভাগীরথী সেবা সদনে। তাকে দত্তক নিলেন রোমের দম্পতি। আর দিন সাতেকের মধ্যেই বাবা-মায়ের সঙ্গে ইতালি উড়ে যাবে সে।
মুর্শিদাবাদ জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির অন্যতম সদস্য নীলাঞ্জন পান্ডে বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের শিশু অধিকার এবং প্রোটেকশন আইনে শিশুদের বিভিন্ন অধিকারের মধ্যে তাদের একটি পরিবারের সদস্য হওয়ার অধিকারের কথা বলা রয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে যে সমস্ত শিশুরা হোমে রয়েছে, তাদের দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে।’’