প্রতীকী ছবি।
ঘরে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। কেউ ট্রেনে, আবার কেউ পায়ে হেঁটে। তাঁদের অনেককেই রাখা হচ্ছে কোয়রান্টিন সেন্টারে। তবে ঘরে ফেরা শ্রমিকদের সংখ্যা ক্রমে বাড়তে থাকলেও আপাতত কোয়রান্টিন সেন্টারগুলিতে যে সংখ্যক শয্যা রয়েছে, তা যথেষ্ট বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
করোনা নিয়ে উদ্বেগ ছড়ানোর পর জেলার বেশ কয়েক জায়গায় কোয়রান্টিন সেন্টার এবং আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করা হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে জেলায় কোয়রান্টিন সেন্টার আছে ১৭টি, শয্যা আছে ৮৮০টি। সেখানে ভর্তি আছেন ২৬০ জন। জেলার ৯টি আইসোলেশন সেন্টারে মোট শয্যার সংখ্যা ৩৩৮। সেখানে ভর্তি আছেন ৯৩ জন। ফলে এখনও পর্যাপ্ত সংখ্যক শয্যাই খালি রয়েছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা। নদিয়ার জেলা শাসক বিভু গোয়েল বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত আমাদের জেলায় যা কোয়রান্টিন সেন্টার এবং শয্যা আছে তা পর্যাপ্ত। এখনও পর্যন্ত সমস্যা কিছু নেই। "
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মাসের শুরুর দিকেই ট্রেনে ফিরেছেন বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের অনেকেই নদিয়ার বাসিন্দা। আবার শুক্রবার পায়ে হেঁটে হায়দরাবাদ থেকে মুর্শিদাবাদ ফেরার পথে শান্তিপুরে ৯ জন পরিযায়ী শ্রমিককে আটকায় পুলিশ। তাঁদের পরে ফুলিয়ার কিসান বাজারের কোয়রান্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়। মহারাষ্ট্র থেকে ৭৫ জন শ্রমিকের একটি দল লরিতে চেপে ফিরছিলেন। তাঁদের মধ্যে নদিয়ার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ, বর্ধমানের বাসিন্দাও ছিলেন। শান্তিপুরে একই ভাবে তাঁদের আটকায় পুলিশ। তাঁদের মধ্যে শান্তিপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ৪৬ জন। তাঁদের ফুলিয়ার কোয়রান্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায়। তবে সব মিলিয়ে এই ঘরে ফেরা শ্রমিকদের সংখ্যা যত বাড়ছে, তত ভর্তি হচ্ছে কোয়রান্টিন সেন্টারের শয্যাও।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোয়রান্টিন সেন্টারের পাশাপাশি হোম কোয়রান্টিনেও অনেককে রাখা হচ্ছে। কারা কোয়রান্টিন সেন্টারে থাকবেন এবং কারা হোম কোয়রান্টিনে বা কাদের আইসোলেশনে পাঠানো হবে, তা ঠিক করা হচ্ছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর।
আবার রেড জ়োন থেকে কেউ এলে তাঁদের কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখা হচ্ছে। তবে আগামী কয়েকদিন যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার কথা, তাঁদের জন্য বাড়তি শয্যার প্রয়োজন এখনই নেই বলেই জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। পাশাপাশি, যাঁরা কোয়রান্টিন সেন্টারে আছেন, তাঁদের অনেকেরই মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ফলে সেই সময়েও বেশ কিছু শয্যা ফাঁকা হবে।