Arrest

হিমাচল থেকে বাংলাদেশ, পাচারের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে বাজেয়াপ্ত প্রচুর নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ, ধৃত এক

পুলিশ সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া প্যাকেটগুলি থেকে মোট আট হাজার একশো বোতল নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ উদ্ধার হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাচার চক্র সম্পর্কে খোঁজ চালানো হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৩ ২৩:১০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সাদা প্লাস্টিকের বস্তা সেলাই করে সুন্দর করে প্যাকিংয়ে মোড়া বেশ কয়েকটি প্যাকেট। লরিতে বাধা ত্রিপল সরিয়ে প্যাকিং কাটতেই বেরিয়ে এল বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ফেনসিডিল! নদিয়ার নবদ্বীপ-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কে এই ঘটনায় পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার চালক। পুলিশ সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া প্যাকেটগুলি থেকে মোট আট হাজার একশো বোতল নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ উদ্ধার হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাচার চক্র সম্পর্কে খোঁজ চালানো হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্র মারফত খবর মেলে, শনিবার দুপুরে নবদ্বীপ-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক দিয়ে একটি লরিতে করে ফেনসিডিল নিয়ে যাওয়া হবে নদিয়ার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মুরুটিয়া থানায় এলাকায়। সেই মতো রাজ্য সড়কের জহাঙ্গিরপুর এলাকায় সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়ন করে জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। সন্দেহভাজন গাড়িটি আসতেই থামিয়ে তল্লাশি চালায় কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ ও জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিএসপি। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ৮১০০ বোতল ফেনসিডিল। নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় লরিচালক মহিদুল বিশ্বাসকে। ধৃতের বাড়ি নদিয়ার মুরুটিয়া থানা এলাকার রশিদপুরে। নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ হিমাচল প্রদেশ থেকে নদিয়ার সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। চক্রের সঙ্গে আরও কারা যুক্ত, তা জানতে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।

কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলা ইনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিএসপি অমিতাভ কোনার বলেন, ‘‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ও ইনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ যৌথ তল্লাশি অভিযান চালায়। চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মূলচক্রীকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement