চিকিৎসা করাতে ভারতে এসে গ্রেফতার বাংলাদেশি দম্পতি। — নিজস্ব চিত্র।
চিকিৎসা করাতে ভারতে এসে জেলে যেতে হচ্ছে এক বাংলাদেশি দম্পতিকে। অভিযোগ, সীমান্তের মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র তাঁদের বাংলাদেশি মুদ্রা বদলে ভারতীয় মুদ্রা দেয় দু’হাজার টাকার নোটে। দম্পতির দাবি তাঁরা জানতেন না, ভারতে দু’হাজারের নোটের লেনদেন বন্ধ হয়েছে। বিএসএফের তল্লাশিতে দম্পতির ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় দু’হাজার টাকার ৭৮টি নোট। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।
বাংলাদেশের রাজবাড়ি জেলার নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা সরকারি চাকুরে জহিরুল ইসলাম তাঁর স্ত্রী কাঞ্জি ফাতেমাকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে এসেছেন। গন্তব্য ছিল কলকাতা। সীমান্তে নিয়মমাফিক তল্লাশি চালানোর সময় দম্পতির ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ৭৮টি দু’হাজার টাকার নোট। প্রাথমিক ভাবে তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে বিএসএফ। কোনও সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় গ্রেফতার করা হয় দম্পতিকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় উদ্ধার হওয়া টাকা।
স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে ভারতে এসে গ্রেফতার হয়ে যাওয়া জহিরুলের দাবি, দু’লক্ষ বাংলাদেশি টাকার বিনিময়ে গেদে সীমান্তের এক মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র থেকে তিনি এক লক্ষ ৭৮ হাজার ভারতীয় টাকার এই নোটগুলি পেয়েছেন। ভারতে যে এই নোটের লেনদেন বন্ধ সে সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। যদিও জহিরুল এই দাবির পক্ষে কোনও তথ্য-প্রমাণ দেখাতে পারেননি। তাই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফের ডিআইজি একে আর্য বলেন, ‘‘সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন গড়ে বারোশো বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে প্রবেশ করেন। তাঁদের দেহ তল্লাশির পাশাপাশি, সঙ্গে থাকা সামগ্রীরও তল্লাশি করা হয়। সে ভাবেই বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়েছে।’’