এনআইএ চলে যাওয়ার পরে আকবর আলির বাড়িতে ভিড় প্রতিবেশীদের। নিজস্ব চিত্র।
ফের এনআইএ'র হানা জলঙ্গিতে। তবে এর আগে হানা দিয়ে ‘ছো’ মেরে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করলেও এদিন তদন্তকারীদের ফিরতে হয় কার্যত খালি হাতেই।
প্রশাসনিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সোমবার মধ্যরাতে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র একটি দল হানা দেয় জলঙ্গির নওসেরের পাড়া গ্রামে। এ দিন মোশারফ মণ্ডল ও আকবর আলি নামে দুই ব্যক্তির বাড়িতে তদন্তকারীরা হানা দেয় বলে জানা গিয়েছে। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে মুন্না আনসারি নামে এক সন্দেহভাজনের খোঁজেই এই দুই বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। যদিও মুন্নার হদিস মেলেনি বলে জানতে পারা গিয়েছে।
প্রশাসনিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে জঙ্গি যোগে জড়িত সন্দেহে ধৃত জলঙ্গির বাসিন্দা মইনুল ইসলামের সাথে কেরলে একই হোটেলে কাজ করতেন মুন্না। মইনুল গ্রেফতারের পর থেকেই উধাও সে।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে কেরলের এর্নাকুলাম থেকে আল কায়েদা জঙ্গি যোগে জড়িত থাকার সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করে এনআইএ।
একই সময়ে মুর্শিদাবাদের সীমান্ত লাগোয়া রানিনগর, জলঙ্গি ও ডোমকলের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে দফায় দফায় সন্দেহভাজন আট আল কায়েদা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তারপরেও সীমান্তের গ্রামগুলিতে এনআইএ'র নজর রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সেই সময় ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মুন্না আনসারি নামে এক যুবকের নাম উঠে আসে। তার বাড়ি জলঙ্গির বিশ্বাসপাড়া গ্রামে। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ফেরার মুন্না। তার খোঁজেই জলঙ্গির বিশ্বাসপাড়া থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে নওসেরেরপাড়া গ্রামে ওই দুই বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে জানতে পারা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মোশারফ মণ্ডলের দূর সম্পর্কের আত্মীয় মুন্না। মোশারফের বাড়ি থেকে আট-দশটি বাড়ি পরেই মোশারফের জামাই আকবর আলির বাড়ি। দুই বাড়িতে একই সময়ে অভিযান চালায় তদন্তকারীরা।
মোশারফ ও আকবরের পরিবারের লোকেদের দাবি, সোমবার মধ্যরাতে দুই বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় মুন্নার খোঁজ করেন তদন্তকারীরা। তবে বাড়ি থেকে সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মোশারফ মণ্ডল পেশায় চাষি এবং আকবর চামড়ার ব্যবসার সাথে যুক্ত। মোশারফ এদিন বাড়িতে থাকলেও ব্যবসায়িক কারণে আকবর বাড়ির বাইরে রয়েছেন বলে দাবি পরিবারের লোকেদের।