Murder

Murder: নাবালিকা প্রেমিকাকে খুন, মোবাইলের সূত্রে ধৃত যুবক

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর থেকেই ওই নাবালিকার সঙ্গে আতিবুরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুর্শিদাবাদ শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২২ ০৬:৪৭
Share:

ফাইল চিত্র।

নাবালিকা প্রেমিকাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বছর উনিশের এক যুবককে। তার নাম আতিবুর শেখ। বাড়ি মুর্শিদাবাদে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর থেকেই ওই নাবালিকার সঙ্গে আতিবুরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছু দিন থেকে ওই নাবালিকা যুবককে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, তাকে বিয়ে না করলে পুলিশের দ্বারস্থ হবে বলেও নাবালিকা হুমকি দেওয়ায় সেই চাপ থেকে মুক্তি পেতেই খুনের ষড়যন্ত্র করে আতিবুর। পাশের অন্য এক মহকুমা এলাকার একটি বরফ মিলের পিছনে নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকাকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয় বলে দাবি পুলিশের।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পরে নিখোঁজ ডায়েরি হতেই দেরি না করে সন্দেহের তালিকায় থাকা ওই যুবককে আটক করা হয়, তার পরে তাকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পরে নিজের মুখেই খুনের কথা কবুল করে সে। তখন গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

আতিবুর তেমন কোনও কাজকর্ম করে না। এর আগেও একটি বিয়ে হয়েছিল তার। কিন্তু প্রায় বছর খানেক থেকে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক নেই। পুলিশ জেনেছে, পরে ওই নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন থেকে নাবালিকা আতিবুরকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। তারপর থেকেই দূরত্ব তৈরি হয় দু’জনের মধ্যে।

নাবালিকার পরিবারের দাবি, ১৪ তারিখ সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিল মেয়ে। ঘটনার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। সন্দেহের তালিকায় থাকা ওই যুবকের নাম দেওয়া হয় পুলিশের কাছে। পুলিশ তাকে আটক করে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই গোটা ঘটনা সামনে আসে। শেষ পর্যন্ত তাকে সঙ্গে নিয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করা হয় দেহ। শুক্রবার দেহটির ময়না তদন্ত হবে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।

পুলিশের দাবি, সন্দেহের তালিকায় থাকা যুবককে দ্রুত আটক করে তারা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। প্রথমে কোনও ভাবেই সে স্বীকার করেনি খুনের ঘটনা। পরে তার মোবাইল ফোন ঘেটে নানা তথ্য সূত্র পাওয়া যায়। আর তা ধরেই চলে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়ে ওই যুবক। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত সব স্বীকারও করে নিয়েছে।

শেষ পর্যন্ত আতিবুরকে সঙ্গে নিয়েই বুধবার গভীর রাতে একটি কলাবাগান থেকে উদ্ধার করা হয় দেহ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement