আজিজকে উৎসাহ। নিজস্ব চিত্র
প্রশংসিত কাজের জন্য আব্দুল আজিজকে সংবর্ধনা দিল জঙ্গিপুর জেলা পুলিশ। সাগরদিঘির কাবিলপুরে ডুবে যাওয়া তিন নাবালিকাকে ভাগীরথীর পাড় থেকে জলে ঝাঁপিয়ে উদ্ধার করেছিলেন আজিজ রবিবার দুপুরে। তিন বালিকাকে উদ্ধার করলেও বাকি দুই সঙ্গী এক বালক ও এক বালিকা তলিয়ে যায় জলে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সাথী মণ্ডল নামে বছর ১৩ বয়সের বালিকার দেহ উদ্ধার হলেও সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মেলেনি রকি মণ্ডলের (১০)দেহ। তার দেহ উদ্ধারে তল্লাশি চলছে। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে সাগরদিঘির কাবিলপুর তেজরায়পুর ফেরিঘাটের ঠিক পাশেই।
রবিবার দুপুরে একাকী গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে শমসেরগঞ্জের শিকদারপুর ঘাটেও তলিয়ে যায় ৮ বছরের বালক আরিকুল শেখ। দুপুরে খাবার সময় তার মা খোঁজ করতে গেলে দেখা যায় গঙ্গার পাড়ে পড়ে আছে তার গামছা ও প্যান্ট। কিন্তু তার খোঁজ মেলেনি।
সোমবার গঙ্গায় জাল ফেলে উদ্ধার হয় তার মৃতদেহ। বিপদের আশঙ্কায় জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে নদী “স্নানে সাবধান” করে সতর্কবার্তা ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ এলাকায় সচেতনতার অভাবে এইভাবেই জলে ডুবে মৃত্যুর একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
তবে এ বারে আজিজ প্রাণপণ চেষ্টায় প্রাণ বাঁচানোয় খুশি পুলিশকর্তারা। সোমবার সকালে আজিজকে তাঁর বাড়ি থেকে গাড়ি করে জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে নিয়ে আসে পুলিশ। তাঁর হাতে পুষ্প স্তবক, মিষ্টির প্যাকেট, একটি সাহসিকতার ট্রফি ও পোশাক তুলে দেন পুলিশ সুপার ভি জি সতীশ পসুমার্থী।
পুলিশ সুপার তার সাহসিকতার প্রশংসা করে তার হাতে উপহার তুলে দেওয়ায় খুশি আজিজ বলেন, “একটু সময় পেলে আর দু’জনকেও হয়তো বাঁচাতে পারতাম।”