Suicide

Suicide: জামাইষষ্ঠীর নিমন্ত্রণ পাননি, শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে শাঁখা কিনে দিয়ে আত্মঘাতী যুবক

জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন সরোজিৎ। স্ত্রীকে শাঁখা কিনে দেন। এর পর বাড়ি ফেরার পথেই তিনি কীটনাশক খান বলে তাঁর পরিবারের দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২২ ১৫:৪৯
Share:

আত্মঘাতী যুবক। প্রতীকী চিত্র।

বার বার অনুরোধ করলেও স্ত্রী বাপের বাড়ি থেকে ফিরছেন না। আবার শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইষষ্ঠীর নিমন্ত্রণও পাননি। অভিমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করলেন যুবক। মৃত সরোজিৎ দাস (৩২) কৃষ্ণনগরের ভীমপুর থানার বাগবেড়িয়া পঞ্চায়েতের ময়দানপুর এলাকার বাসিন্দা।

Advertisement

সরোজিতের স্ত্রীর নাম সুচিত্রা। বছর ১১ আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দুই পুত্রসন্তানও রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে সরোজিৎ এবং সুচিত্রার মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত।সরোজিৎ বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ। তিনি একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন। এর মধ্যেই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে সুচিত্রা ভীমপুরে বাপের বাড়িতে চলে যান। স্ত্রীকে বার বার বাড়ি ফিরতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সুচিত্রা ফিরতে চাননি। জামাইষষ্ঠীর দিন শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন সরোজিৎ। ওই দিন তিনি স্ত্রীকে শাঁখা কিনে দেন উপহার হিসাবে। এর পর দুপুরের দিকে দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। বাড়ি ফেরার পথেই তিনি কীটনাশক খান বলে তাঁর পরিবারের দাবি। বাড়ি এসে সরোজিৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে তিনি মারা যান। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে সুচিত্রা বলছেন, ‘‘ও মানসিক ভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন ছিল। কাজের জন্য মাস খানেক আগে আমরা একসঙ্গে বাদকুল্লা গিয়েছিলাম। তবে ও আমাকে মারধর করত। এই পরিস্থিতিতে দুই ছেলেকে নিয়ে আমি বাপের বাড়ি চলে আসি। ভয়ে আর শ্বশুরবাড়ি ফিরতে চাইনি।’’

Advertisement

সরোজিতের বাবা ধীরেন্দ্র দাস বলেন, ‘‘জামাইষষ্ঠীর দিন ও শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিল। কিন্তু দুপুরের দিকে বাড়ি চলে আসে। ফিরেই বমি করতে শুরু করে। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। স্ত্রীকে আনতে ও শ্বশুরবাড়ি যেত। কিন্তু বউমা এখানে ফিরতে চাইত না। ও মনখারাপ করে থাকত। তার জন্যই হয়তো আত্মহত্যা করেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement