ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নয়া তথ্য প্রকাশ্যে এল। ২৬৯ জন নয়, বাড়তি এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল ২৭৩ জনকে। কলকাতা হাই কোর্টের কাছে এই তথ্য জমা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। জানা গিয়েছে, টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল রয়েছে, তাই নম্বর বাড়ানো হোক—এই মর্মে পর্ষদের কাছে মোট ২,৭৮৭ টি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। যার মধ্যে ২৭৩ জন প্রশিক্ষিত প্রার্থী ছিলেন। তাঁদের বাড়তি এক নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল।
২০১৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা মান যাচাইয়ের পরীক্ষা (টেট) হয়। অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা পর্ষদের কাছে ছিল না। ১৮ লাখ প্রার্থী অসফল হন। পর্ষদের দাবি, এত সংখ্যক অনুত্তীর্ণদের খুঁজে বের করে নম্বর বাড়ানো সম্ভব হয়নি। ফলে যাঁরা নম্বর বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন, তাঁদেরকেই বাড়তি এক নম্বর দেওয়া হয়।
যদিও মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের যুক্তি, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। পর্ষদ নিয়োগ করছে, অথচ তার কাছে পরীক্ষার্থীদের তথ্য নেই। এটা থেকে পরিষ্কার, তারা সঠিক পদ্ধতিতে নিয়োগ করতে পারেনি। আসলে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ করার জন্যই ওই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল। আর তাতেই দুর্নীতির জাল তৈরি হয়। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে এই নিয়োগে।
উল্লেখ্য, বেআইনি ভাবে নিয়োগের জেরে ২৬৯ জন চাকরিরত প্রাথমিক শিক্ষককে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এ বার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। দুর্নীতির এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত সোমবার সন্ধ্যায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তিনি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।