ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ল কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কে। তেহট্টের মালিয়াপোতায়। নিজস্ব চিত্র sagarhaldar741160@gmail.com
ঝড়ে গাছ পড়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল রাজ্য সড়ক। তাতে আটকে গেল অ্যাম্বুল্যান্স, বিদ্যালয়ের গাড়ি-সহ একাধিক যানবাহন। গাছ কেটে যাতায়াত স্বাভাবিক হতে ঘণ্টা দুয়েকেরও বেশি সময় পেরিয়ে যায়। সোমবার তেহট্ট ও চাপড়ার সীমানা সংলগ্ন এলাকার ঘটনা।
সোমবার সকালে নদিয়ায় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। তেহট্টের মালিয়াপোতায় কয়েক মিনিটের ঝড়ে তেহট্ট ও চাপড়ার সীমানায় দু’টি বড় গাছ ভেঙে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কের উপর পড়ে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। বিদ্যুতের খুঁটিও ভেঙে পড়ে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। গাছ ভেঙে পড়ায় রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তেহট্ট ও চাপড়া থানার পুলিশ। যান নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে মহকুমা ট্রাফিক বিভাগ। গাছ কাটার ব্যবস্থা করে প্রশাসন। ততক্ষণে গাড়ির লাইন পড়ে যায়। অন্যান্য গাড়ির সঙ্গে আটকে পড়ে তিনটি অ্যাম্বুল্যান্সও। দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স রোগী নিয়ে কৃষ্ণনগরের দিকে যাচ্ছিল, আর একটি তেহট্টে ফিরছিল। অ্যাম্বুল্যান্সগুলিকে অন্য রাস্তায় ঘুরিয়ে দেয় প্রশাসন।
প্রত্যক্ষদর্শী এক দোকানদার বলেন, ‘‘ঝড়ে দু’টি গাছ ভেঙে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে কারও কোনও ক্ষতি হয়নি।’’ এক ট্রাক চালক ভুপেন মণ্ডল বলেন, ‘‘গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলাম। গাড়ির গতিও ছিল। হঠাৎ গাছ ভেঙে পড়তে দেখে ব্রেক কষি।’’ চাপড়া থেকে ফিরছিল একটি স্কুল ভ্যান। তার চালক ইমরান শেখ বলেন, ‘‘গাড়িতে শিশুরা আছে। মালিয়াপোতায় নামাব। কখন গাড়ি চলবে সে অপেক্ষায় শিশুরা বিরক্ত হচ্ছিল।’’ বাসযাত্রী রেখা দত্ত বলেন, ‘‘আমার ছয় বছরের ছেলেকে নিয়ে কৃষ্ণনগরে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলাম। যানজটে সমস্যায় পড়তে হয়েছে।’’