Dengue and malaria

ডেঙ্গিতে রক্ষা নেই, দোসর ম্যালেরিয়া

ডেঙ্গিতে মৃত অন্তরার পরিবারের দাবি, এক সপ্তাহ আগে অন্তরা কলকাতায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন।

Advertisement

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:২০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ডেঙ্গিতে রক্ষা নেই, দোসর হয়েছে ম্যালেরিয়া। মুর্শিদাবাদে মশাবাহিত এই দুটো রোগ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। যার জেরে পুজোর মুখে চিন্তায় পড়েছেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দারা। তবে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানান, এ বছর অবশ্য ম্যালেরিয়ার তুলনায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। দিন কয়েক আগেই জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে দুই ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। তার রেশ কাটতে না কাটতে ফের গত বুধবার বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গিতে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। সেদিন বহরমপুরে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস টার্মিনাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম অন্তরা চট্টোপাধ্যায় (৪৩)। তাঁর বাড়ি বহরমপুর পুরসভা লাগোয়া লালদিঘি এলাকায়। স্বাস্থ্য দফতরও অন্তরার ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। এই নিয়ে সরকারি ভাবে জেলায় ডেঙ্গিতে পাঁচ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হল। তবে বেসরকারি মতে সেই সংখ্যা সাত জন হবে।

Advertisement

ডেঙ্গিতে মৃত অন্তরার পরিবারের দাবি, এক সপ্তাহ আগে অন্তরা কলকাতায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। তার পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার ডেঙ্গি পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়ে। বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। খুব অসুস্থ বোধ করায় মৃত্যুর দিন দুয়েক আগে তাঁকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

অন্তরার মৃত্যুর খবরের জেরে গত বৃহস্পতিবার থেকে স্বাস্থ্য দফতরের ডেঙ্গির পরিদর্শক দল জেলার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন শুরু করেছে। সেই সঙ্গে মৃতের বাড়ি ও পাড়ায় স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভার দল গিয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্যাল বলেন, ‘‘মশাবাহিত ডেঙ্গি ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছি। বাসিন্দাদের সচেতন করার পাশাপাশি মশা নিধনে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’ বহরমপুরের পুরপ্রধান নাডুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ডেঙ্গি রুখতে লাগাতার কাজ করছি। তাই গত বছরের তুলনায় এবারে ডেঙ্গি কম বহরমপুরে। বুধবার যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে তিনি কলকাতায় ছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement